ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জের ধরে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। 

মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুরের কালশী এলাকায় শ্রমিকরা বাস বন্ধ করে সড়কে অবস্থান নেন। পরে পূরবী, মিরপুর-১০ ও ১১ এলাকার পরিবহন শ্রমিকরাও যাত্রীদের নামিয়ে সড়কে বাস রেখে সড়ক বন্ধ করে দেন।

মিরপুর রুট মালিক সমিতির সভাপতি মহারাজ হোসেন সমকালকে বলেন, ‘সম্প্রতি সরকারের নির্দেশে মালিকরা সিটিং সার্ভিস বন্ধ করেছেন। এতে শ্রমিকদের ভাড়া তুলতে পরিশ্রম বেড়েছে। ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর বাসের ভাড়া বাড়লেও যাত্রীরা তা দিতে চান না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি লেগেই রয়েছে। যাত্রীদের হাতে কয়েকজন শ্রমিক নাজেহাল হয়েছেন। তাই তারা বাস বন্ধ রেখেছেন।’

তিনি জানান, বুধবার সকালে সমিতির অফিসে গিয়ে শ্রমিক নেতারা কথা বলবেন।  সেদিন সকাল থেকে আবার বাস চলবে আশা করা যাচ্ছে।

বাস বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। অফিস শেষে যাত্রীরা বাস না পেয়ে বাড়তি ভাড়ায় অটোরিকশা, রিকশায় গন্তব্যে যান।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০ টার দিকে বাস চলাচল বন্ধ ছিল।

মিরপুর-১২ থেকে কোনো বাস ছাড়তে দিচ্ছেন না সড়কে অবস্থা নেওয়া শ্রমিকরা। 

মিরপুর থেকে চলা দিশাশি পরিবহনের শ্রমিক কালাম মিয়া বলেন, ‘নতুন ভাড়া নির্ধারণের পর যাত্রীদের কাছ থেকে তা নেওয়া যাচ্ছে না। তারা মানতে চান না ভাড়া এত বেড়েছে। আবার বাস মালিকরাও কম টাকা নিতে চান না। শ্রমিকরা কোথা থেকে টাকা দেবে। তাই বাস বন্ধ রাখা হয়েছে।’

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পারভেজ ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘শ্রমিকরা রাস্তা ছেড়ে চলে গেছেন। তবে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।’