দ্রুত প্রবৃদ্ধি করছে এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প: বিমান প্রতিমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মধ্য দিয়ে বাড়ছে দেশের এভিয়েশন, পর্যটন শিল্প ও আকাশ পথের পরিধি। সেই সঙ্গে বিনিয়োগ বাড়ছে এ দুটি শিল্পে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দ্রুত প্রবৃদ্ধি লাভ করছে এভিয়েশনখাত।’

সোমবার সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিভিআইপি টার্মিনালে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) আয়োজিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশের অর্জন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বেবিচক কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর ও সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে বিমান পরিবহন অবকাঠামোর যুগোপযোগী উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আজ ২১টি অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ সমৃদ্ধ বহরের অধিকারী। দেশের পর্যটন শিল্পের গুণগত মানের উন্নয়নের জন্য চলছে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ। স্বাধীনতা থেকে শুরু করে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের যা কিছু মহান অর্জন তার সবই এসেছে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে। স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়েছেন স্বাধীন দেশ, আর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি উন্নয়নশীল বাংলাদেশ।’ 

মাহবুব আলী বলেন, ‘প্রধানন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন; সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশকে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে, স্বল্পন্নোত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার মাধ্যমে এবং খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত করার মাধ্যমে। বর্তমান দেশে মাথাপিছু গড় আয়ু বেড়ে ২,৫৫৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। বেড়েছে বাজেটের আকার, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রেমিট্যান্স, রিজার্ভ আর রপ্তানি আয়।’

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দারিদ্র্য হ্রাস, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, গৃহহীন মানুষকে গৃহ প্রদান, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম, নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা, শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধসহ মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল, শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্ণফুলী টানেলসহ স্ব-অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ বিশ্বে বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশ বিজ্ঞানের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন দ্রুত উন্নয়নশীল প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে একটি। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ বর্তমানে এক উন্নয়ন বিস্ময়ের নাম।’