ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ | ১০:৫০ | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ | ১০:৫৪

বিদেশে অর্থ পাচারকারী হিসেবে পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে- সরকারকে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি দেশে অর্থ পাচার প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়।

আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও সিআইডিকে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে বলা হয়েছে।  

সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে ৫ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে আলোচিত পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসা অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ৪৩ ব্যক্তি ও ১৪টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা পৃথক দুটি প্রতিবেদনে হাইকোর্টে দাখিল করে দুদক। 

প্রতিবেদনে দুদক জানিয়েছিল, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য বিশ্লেষণ এবং ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) ওয়েবসাইটে দেশভিত্তিক তালিকা পর্যালোচনা করে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, রোববার আমরা অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের দুটি তালিকা আদালতে দাখিল করেছি। তার মধ্যে প্যারাডাইস পেপারসের ২৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিক আছে। কিন্তু পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে উঠে আসা মোট ৬১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুদক ১৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা কেন দিল, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। আমরা বলেছি, কমিশনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানাতে হবে।

সোমবার ওই প্রতিবেদনের ওপর শুনানিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত বলেন, যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে, তা অসম্পূর্ণ। কেন তারা দুর্নীতি দমন কমিশনকে অর্থ পাচারকারীদের সম্পর্কে তথ্য ও নথি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে, এটা জানাতে হবে। আদালত আরও বলেন, দেশের অর্থ পাচার বন্ধে সবাইকে কাজ করতে হবে। যেভাবে অর্থ পাচার হচ্ছে, আমাদের তো মাঝেমধ্যে ঘুম হয় না। আমরা কেউ বসে থাকতে পারি না। কাউকে না কাউকে কাজ করতে হবে।

আদালত বলেন, আমাদের দেশে দুর্নীতিবিরোধী কোনো সংগঠন নেই। ভারতে আছে, তারা মানববন্ধন ও আন্দোলন করেন। আমরা কেউই চাই না, এত রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশে দুর্নীতি হোক।

বিদেশি ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার করা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেছিলেন আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন। সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য বিদেশি ব্যাংকে বাংলাদেশের কে কত টাকা পাচার করেছে, সে তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানি করেন।


আরও পড়ুন

×