পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় আহামেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি কক্ষ থেকে পারভীন বেগম (৪৭) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অফিস খোলার পর কর্মচারীরা মেঝেতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।

মেঝেতে পড়ে থাকা পারভীনের মুখমন্ডল রক্তাক্ত দেখা গেছে। পাশেই ইদুর নিধনের বিষ পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জানা গেছে, পারভীনের ছোট মেয়ে ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বড় মেয়ে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ছেলে কলেজে পড়েন।

পুলিশের চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার ইলিয়াস হোসেন সমকালকে বলেন, পারভীনের মৃত্যুটি রহস্যজনক। তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি বিষপানে মারা গেছেন, তা নিশ্চিত হতে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। লাশের পাশেই একটি কাগজ পাওয়া গেছে, যাতে পারভীনের নাম-ঠিকানা লেখা রয়েছে। ওই কাগজ অনুযায়ী তার বাসা পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার এলাকায়।

শ্রেণিকক্ষে লাশ পাওয়ার খবরে স্কুলটার সামনে ভিড় করেন অভিভাবকেরা। তারা বলছিলেন, কেউ আত্মহত্যা করতে চাইলে স্কুলের কক্ষে আসার কথা নয়। ওই নারীকে হত্যা করা হতে পারে।

স্কুলটির একজন নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল গাফফার বলছিলেন, রাতে স্কুলের সব গেট বন্ধ থাকে। তাই ওই নারী হয়তো আগের দিন (রোববার)  স্কুলে ঢুকে আত্মহত্যা করতে পারেন।

তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, কক্ষটির দরজা লাগানো হয়নি। নির্মানকাজের সিমেন্টের বস্তার স্তুপ সাজানো সেখানে। লোকজনেরও চলাফেরা রয়েছে সেখানে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ সেখানে গিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেও দেখার কথা।

পারভীন বেগমের ব্যবসায়ী স্বামী আব্দুল বাসেত মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। তবে ঘটনাস্থলে তার সন্তানেরাসহ অন্য স্বজনেরা এসেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।

অবশ্য একজন স্বজন জানিয়েছেন, আগামী মাসেই পারভীনের বড় মেয়ের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা। কোন পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটল, তারা কিছুই বুঝতে পারছেন না।