ফিলিস্তিনে নারী-শিশু হত্যার প্রতিবাদে মোমবাতি প্রজ্বলন
মোমবাতি জ্বালিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। ছবি: সমকাল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৬:৫৪
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি জ্বালিয়ে ফিলিস্তিনের নারী-শিশুসহ সর্বস্তরের নাগরিকের ওপর দখলদার ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন লেখক, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পীরা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডস উইথ প্যালেস্টাইন’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে অংশ নেন লেখক ও নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গার্মেন্টর্স শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপ্রধান মোশরেফা মিশু, সংগীত শিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আমরা ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের সঙ্গে সংহতি জানাতে দাঁড়িয়েছি। ফিলিস্তিনের মানুষের অসীম সাহস দেখে সারা বিশ্ব তাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে, আমরাও তার অংশীদার।
রেহনুমা আহমেদ বলেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমরা নাড়ির টান অনুভব করি। কারণ, বাংলাদেশেও গণহত্যা হয়েছিল। সেই গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। ফিলিস্তিন এখনও পরাধীন। কিন্তু যেভাবে সমগ্র বিশ্বের মানুষ আজ গণহত্যার প্রতিবাদ-প্রতিরোধে নেমেছে, আমাদের বিশ্বাস এবার একটা ফয়সালা হবেই হবে। ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে। এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য শুধু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুই নয়, ইসরায়েলের গণহত্যার মদদদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাজ্য ও ইইউর অনেক দেশের নেতাদেরও বিচার হবে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রকামী মানুষ হিসেবে আমরা একইসাথে লজ্জা বোধ করি; আমাদের সরকার ইসরায়েলের মতো হীন দেশ থেকে থার্ড পার্টির মাধ্যমে নজরদারি ও আড়িপাতার যন্ত্র কিনেছে। এদেশের সিকিউরিটি ফোর্সেসের ক’জন অফিসার ইসরায়েলিদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
মোশরেফা মিশু বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের সংগ্রাম দীর্ঘ। কিন্তু তা কোনোদিন বৃথা যাবে না। বাংলাদেশের বিবেকবান জনগণ তাদের স্বাধীনতা-মুক্তির সংগ্রামে সবসময়ে সোচ্চার ছিল এবং থাকবে। একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্র যারা ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধকে শুধু সমর্থন না প্রতক্ষ্যভাবে সমর্থন করছে, আমরা তাদের ধিক্কার জানাই এবং বিচার চাই।
প্রতিরোধের গান, ‘আমরা করবো জয়’ গানটি সমবেত কণ্ঠে গাওয়ার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।