জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর সৃষ্টি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবার্ষিকী উপলক্ষে ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংগঠক মুক্ত আসর আয়োজন করেছে শতবর্ষে ‘বিদ্রোহী’। রাজধানীর পরিবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে ওয়াহিদুল হক মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে এ অনুষ্ঠানে মোমবাতি জ্বালিয়ে শুভসূচনা করেন কবির নাতনি ও সংগীতশিল্পী খিলখিল কাজী। তিনি বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ সম্পর্কে বলেন, ‘বিদ্রোহী কবিতা বাংলার যুব মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, বিপ্লবীদের ভাষা দিয়েছে, রাজনৈতিক সামাজিক চেতনাকে জাগ্রত করে। যুবক সমাজকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছে। এই কবিতায় বাংলা ভাষার মানুষ নতুন এক কণ্ঠস্বর ও বাণী শুনেছে। জনমন এত আলোড়িত হয়েছিল যে বিমুগ্ধ পাঠকেরা কবির নামে কবিতার নাম যুক্ত করে অভিনন্দন জানায়। কাজী নজরুল ইসলাম পরিচিতি পান বিদ্রোহী হিসেবে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত সারা ভারতবর্ষে ও দুই বাংলাতে বিদ্রোহী কবি হিসেবে তিনি সম্মানিত। বিদ্রোহী কবিতা মানুষের মনে সদাই জাগ্রত থাকবে।’

মুক্ত আসরের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবু সাঈদের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন মুক্ত আসরের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এম এস এ মনসুর আহমেদ ও সহসভাপতি আলোকচিত্রী ও গবেষক সাহাদাত পারভেজ, আশফাকুজ্জামান, সাহিত্য সম্পাদক কবি সাহিনা মিতা প্রমুখ।

'বিদ্রোহী' কবিতাটি আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার রফিকুল ইসলাম। সংগীত পরিবেশন করেন নজরুলসংগীতশিল্পী শাহিনা আক্তার পাপিয়া। অনু্ষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মুক্ত আসরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়শা জাহান নূপুর।

অনুষ্ঠান সম্পর্কে মুক্ত আসরের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, ‘মুক্ত আসর নানা রকমের কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম উদ্যোগ “আমিই নজরুল”। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা জাতীয় কবির চিন্তা, চেতনা ও তার আদর্শ তরুণদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। অনলাইনে নজরুল নিয়ে নানা বিষয় আয়োজনের মধ্যে অন্যতম “আমিই নজরুল” আলোচনা অনুষ্ঠান, নজরুলসারথী ও আন্তর্জাতিক নজরুল সম্মেলন ২০২১। এর ধারাবাহিতায় নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার প্রকাশের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘শতবর্ষে বিদ্রোহী’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। নজরুলের বিদ্রোহী কবিতাটি এখনো অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।’

বিষয় : ‘বিদ্রোহী’ কবিতা ‘বিদ্রোহী’ ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষ

মন্তব্য করুন