
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টালের কনফারেন্সে ক্যাথ ল্যাব প্রসিডিউর মাইলফলক হিসেবে কেক কাটা হয় - সংগৃহীত
দেশে হৃদরোগ চিকিৎসা অনেক দূর এগিয়েছে। চাহিদাও বাড়ছে। তবে এ চিকিৎসায় ব্যয় বেশি হচ্ছে। ব্যয় কমাতে হবে। একইসঙ্গে রোগটি প্রতিরোধে গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিষয়ক কনফারেন্সে বক্তারা এ কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল মালিক। সন্মানিত অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল প্রফেসর অব মেডিসিন ডা. চৌধুরী এইচ আহসান। চেয়ারপারসন হিসেবে বক্তব্য দেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান এম মাকসুমুল হক।
বক্তারা বলেন, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার ক্যাথল্যাব প্রসিডিউর করেছে, যা দেশের হৃদরোগ চিকিৎসায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ চিকিৎসায় দিন দিন অনন্য হয়ে উঠছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত দেশে কার্ডিয়াক চিকিৎসার আধুনিকায়নে প্রতিষ্ঠানটি তার স্বক্ষমতা বাড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একেএম মুহিবুল্লাহ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিওভাসকুলার ইন্টারভেনশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুর রহমান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের বোর্ড অব এডভাইজার্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অধ্যাপক ডা. এমএ রশীদ প্রমুখ।
কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টরা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ ও কেস স্টাডি উপস্থাপন করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ইব্রাহিম কার্ডিয়াকের দুটি লাইভ ইন্টারভেনশন কেসও দেখানো হয়।
এছাড়া কনফারেন্সে ৭৫ হাজার ক্যাথল্যাব প্রসিডিউর উপলক্ষে কেক কাটা হয়। প্রায় ৪০০ হৃদরোগ চিকিৎসক এতে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য করুন