করোনা মহামারিতে শিশুশ্রম বেড়ে গেছে ৷ মহামারি অবস্থা কতদিন চলবে? তা কেউ জানে না। ফলে শিশুশ্রম পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে ৷

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কাউন্সিল ওয়েলফেয়ার রাইটস সাংবাদিক ফোরামের(আইটিইউসি) উদ্যোগে ‘কর্মক্ষেত্রে শিশুশ্রম নিরসনে ট্রেড ইউনিয়ন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় আইটিইউসির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাকিল আখতার চৌধুরী।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়— সরকারি হিসাব মতে দেশে ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুর সংখ্যা ৫ কোটি ২৩ লাখ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৩২.৪ শতাংশ শিশু (বিবিএস ২০১৬-১৭)। শিশুরা স্বাভাবিক নিয়মে বেড়ে উঠবে এটি তাদের অধিকার। শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও শিক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। শিশু অধিকার সুরক্ষায় দেশে আইন রয়েছে। কিন্তু আইন বাস্তবায়নে নানা দুর্বলতার কারণে শিশুরা যথেষ্ট সুরক্ষিত নয়। প্রতিটি শিশুর জন্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা না গেলে দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।

সভায় শিশুশ্রম বিলোপ বন্ধে সাত দফা সুপারিশ করা হয়। এগুলো হলো-সকল শিশুদের জন্য শিক্ষার অবারিত সুযোগ তৈরি করা, দারিদ্রতা দূর করতে সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া, শিশুশ্রম রোধে প্রচারাভিযান চালানো, আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, শিশুপাচারে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়া, সরকার, মালিক পক্ষ, ট্রেড ইউনিয়ন, গণমাধ্যমকর্মী ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সামাজিক সংগঠনসমূহের সমন্বিত উদ্যোগে নেওয়া এবং অবিলম্বে আইএলও কনভেনশন-১৩৮ অনুসমর্থন করা।