- রাজধানী
- জলাশয় ভরে হোটেল, রেলওয়ের ডিজিকে ফোন করে ক্ষোভ মেয়র আতিকের
জলাশয় ভরে হোটেল, রেলওয়ের ডিজিকে ফোন করে ক্ষোভ মেয়র আতিকের

রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে জলাশয়ের জায়গায় পাঁচতারকা হোটেল ও শপিং কমপ্লেপ নির্মাণ করছে মিলেনিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম জায়গাটি পরিদর্শনে গিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকে মোবাইলে কল দেন। পরে ফোন করেন রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারকে।
রেলওয়ের ডিজিকে মেয়র আতিকুল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আপনারা জলাধারে পাঁচতারকা হোটেল ও শপিং কমপ্লেপের জন্য বরাদ্দ দিচ্ছেন। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো ধরনের জলাধার ভরাট করা যাবে না। সেখানে কীভাবে বরাদ্দ দিলেন? আপনি কি জানেন না এটা জলাধার? খবর নেন, দ্রুত এই বরাদ্দ বাতিল করেন।'
এ সময় তিনি বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনহীন বিশালাকার একটি সাইনবোর্ড ভাঙার নির্দেশ দেন। পরে সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, এই জলাধার ভরাট হলে আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট হবে। তা ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩০০ ফুট সড়কের দুই পাশে খাল খনন করা হচ্ছে। এর পাশেই জলাধার ভরাট করে হোটেল ও শপিংমল বানানো হলে সেটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে।'
উচ্ছেদ অভিযানের শুরুতে মেয়র আতিকুল বলেন, কুড়িল বিশ্বরোডের পাশের এই জলধার যুগ যুগ ধরে নিকুঞ্জের মানুষকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করে আসছে। এটি ভরাট করা হলে নিকুঞ্জসহ এয়ারপোর্ট রোডে বর্ষার পানি নিস্কাশন ব্যবস্থ্থা নষ্ট হয়ে যাবে। এই জলাধার রক্ষায় প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে স্থানীয় কাউন্সিলরের লোকজন অবৈধ স্থাপনার সামগ্রিগুলো নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেসব মোবাইলে ধারণ করছিলেন প্রথম আলোর সংবাদকর্মী ড্রিঞ্জা চাম্বুগং। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কাউন্সিলরের অনুসারীরা তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। ওই সংবাদকর্মীকে গলাধাক্কাও দেন।
জানা গেছে, ডিএনসিসির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসাহাক মিয়ার লোকজন ওই অফিসের জিনিসপত্র লুটে নিতে শুরু করেন। অবশ্য ওই কাউন্সিলর দাবি করেন, তার কোনো লোক এসব লুটপাট করেনি। কে বা কারা করেছে, তাও তিনি জানেন না।
এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল মার্কেটে অবৈধভাবে ফুটপাত দখলের দায়ে পাঁচ দোকান মালিককে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ডিএনসিসি।
ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার এই অভিযান চলে। ভাসমান বিপণিবিতান উচ্ছেদের অংশ হিসেবে এই জরিমানা আদায় করা হয়।
মন্তব্য করুন