নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উল্যাহকে (৬৫) মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের চরকাঁকড়া মহল্লার মরহুম দর্জি ওবায়দুল হকের বাড়িতে কুলকানি অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা আনছার উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, বুধবার দুপুরের সোয়া ২টার দিকে তিনি বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাসী মরহুম দর্জি ওবায়দুল হকের কুলখানি অনুষ্ঠানে যান। এ সময় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। আনছার উল্যাহ মেয়রকে ওই অনুষ্ঠানে আসতে দেখে বসা থেকে উঠে অন্য একটি জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় কাদের মির্জা কিছুক্ষণ ওই স্থানে বসে থাকেন। এরপর আমার দিকে এগিয়ে এসে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাকে বলেন আপনি কাজটা ভালো করেছেন না। তাকে আমি বলি আমি কাজ ভালো করতেছি, খারাপ কি করছি? এরপর কাদের মির্জা আমি ভোট চুরি করেছি বলে আমাকে থাপ্পড় মারেন। থাপ্পড়ের সাথে সাথে আমার চোখের চশমা চোখ থেকে খুলে মাঠিতে পড়ে যায়। আমার গালে কেটে যায়। এরপর আমাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। এরপর আবারও উত্তেজিত হয়ে আমাকে আরেক থাপ্পড় দিয়ে গায়ে থেকে আমার চাদর ফেলে দেয়।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আহবায়ক নুরুল আলম শিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা আনছার উল্যাহকে কাদের মির্জা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা । তিনি বলেন, যেহেতু বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না সেহেতু বিএনপি নেতাকে লাঞ্ছিত করাটা দুঃখজনক। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৭ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। ওই নির্বাচন শেষে আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ সভা করব।

এ বিষয়ে কাদের মির্জার ভাগ্নে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজিস সালেকিন রিমন বলেন, আমার ভোট করায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আনছার উল্যাহকে মারধর করে কাদের মির্জা। এ ঘটনা শুনতে পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি তাকে দেখতে যাই। এ ঘটনায় আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার সমর্থককে মারধর করায় সন্ধ্যায় রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সাজ্জাদ রোমেন জানান, ঘটনাটি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।