রাজধানীর সবুজবাগে ২ শিশুকে স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা বেঁধে মাকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার এসি মেরামতের কথা বলে বাসায় ঢুকে তানিয়া আক্তার মুক্তাকে কুপিয়ে হত্যা করে ওই তিনজন। এরপর বাসায় লুটপাট চালায়। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিলি বিভাগের উপ কমিশনার মো. আ. আহাদ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-বাপ্পী (৩১), সুমন হোসেন হৃদয় (২২) ও রুবেল (৪২)। তাদের মধ্যে বাপ্পীকে ঝালকাঠি থেকে এবং অপর ২ জনকে রাজধানীর রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মতিঝিলি বিভাগের উপ কমিশনার জানান, সেদিন এসি মেকানিক বাপ্পী সহযোগী হৃদয়কে নিয়ে ওই বাসায় আসে। তারা এসি সার্ভিসিং করতে হবে কি না জানতে চাইলে, তানিয়া তার স্বামী ময়নুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। ময়নুল বাসায় ছিলেন না বলে তাদের পরে আসতে বলেন। তানিয়া পরে আবার স্বামীর সঙ্গে কথা বলে এসি মেকানিকদের কাজ করার জন্য দরজা খুলে দেন। পরে বাপ্পী, হৃদয় ও রুবেল বাসায় প্রবেশ করে। তারা এসির কাজ শুরু করলে, তানিয়া বাসার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

গ্রেপ্তার তিন জনের দেওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, কাজ করার সময়ে তানিয়া এক পর্যায়ে লক্ষ্য করেন, মিস্ত্রিরা বাসার আলমারি খুলে জিনিসপত্র ওলট-পালট করছে। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে রুবেল প্রথমে তাকে বালিশচাপা দেয় এবং বাপ্পী চাপাতি বের করে তার মাথায় ও পিঠে ৩টি কোপ দেয়।

ওই সময়ে তানিয়ার তিন বছরের মেয়ে মায়মুনা জামান ও ১০ মাসের ছেলে তানভীরুল ইসলাম কান্না করলে এই দুর্বৃত্তরা তাদের স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে লুটপাট করে বলে জানান তিনি।

পুুলিশ জানায়, তিন জনকে গ্রেপ্তার করা গেলেও বাসা থেকে লুট হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা যায়নি। আজ মঙ্গলবারই তিনজনকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।