- রাজধানী
- কখনও চুরি বা ছিনতাই, কখনও হত্যা করে ওরা ছিনিয়ে নিত অটোরিকশা
কখনও চুরি বা ছিনতাই, কখনও হত্যা করে ওরা ছিনিয়ে নিত অটোরিকশা

গাজীপুরে সংঘবদ্ধ চোর চক্রটি বিভক্ত হয়ে যায় ছোট ছোট দলে, যাদের মূল টার্গেট ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা।
তারা কখনও চালককে জিম্মি করে, মারপিট করে বা নেশাজাতীয় কোনো দ্রব্য খাইয়ে রিকশা ছিনতাই করে নেয় তারা। বেপরোয়া চোর চক্রটি চালকদের হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করত না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার এক অটোরিকশা চালকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানে নামে র্যাব-১। পরে সেই চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব ১ জানায়, চক্রের মূলহোতা নান্নু সরদারকে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর সদরের বাঘের বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নান্নু শ্রীপুরের মাওনা নতুন বাজার এলাকায় ভাড়া থাকেন।
গ্রেপ্তারের পর র্যাবকে নান্নু জানান, গাজীপুর মহানগরের উত্তর খাইলকুর বটতলা এলাকায় ওই চক্রের সদস্যরা অবস্থান করছে। পরে র্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে মো.আকাশ পায়েল, মো. ফজর আলী, শুনু মিয়া, রিয়াজ উদ্দিন, মো. কাওসার ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
ওই গ্যারেজ থেকে চুরি ও ছিনতাই করে আনা ৭টি অটোরিকশা, ৪টি ব্যাটারি, ১টি হাতুড়ি, ২টি সেলাই রেঞ্জ, ১টি গলার সাড়াশি, ১টি ড্রিল মেশিন, ১টি টায়ার লেবার, ২টি রিং ঢালী ও ১টি মোটর উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, চক্রটি চুরি করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। অটোরিকশা চুরি করার জন্য সাধারণত তিন থেকে ৪ জনের একটি দল তৈরি করে। এরপর টার্গেট করা অটোরিকশাটির কাছে নিজেরা অন্য আরেকটি অটোরিকশা নিয়ে অবস্থান করে। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন কৌশলে টার্গেট করা অটোচালকের বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা করে। ভাড়া নেওয়ার কথা বলে সেই অটোরিকশা চালককে সামান্য দূরে আড়ালে নিয়ে যায়।
পরে অটোরিকশার কাছে থাকা চোর চক্রের অন্য সদস্যরা রিকশাট চুরি করে নিয়ে সরে যায়। পরবর্তীতে অটোরিকশা মালিককে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং অটোরিকশাগুলো মনির হোসেনের গ্যারেজে নিয়ে জমা রাখে।
মন্তব্য করুন