- রাজধানী
- ১০ দিনেও বিভাগীয় মামলা হয়নি বেবিচক কর্মীর বিরুদ্ধে
১০ দিনেও বিভাগীয় মামলা হয়নি বেবিচক কর্মীর বিরুদ্ধে

স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে কারাগারে পাঠানোর ১০ দিনেও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এক কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়নি। তিনি বেবিচক সদর দপ্তর প্রশাসন শাখায় কর্মরত। এ ঘটনায় অন্য কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, স্বর্ণ পাচারের জন্য গত ৩ এপ্রিল সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা পাস ব্যবহার করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস হলে প্রবেশ করেন অভিযুক্ত আবদুল হাকিম। বিদেশ থেকে অবৈধভাবে স্বর্ণবার নিয়ে আসা যাত্রী আল আমিন ও মোবারক হোসেনের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার চারটি স্বর্ণবার নিজের হেফাজতে নেন তিনি।
বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। এ সময় তল্লাশি করে তার হেফাজত থেকে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা চারটি স্বর্ণবার জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে পুলিশ জানায়।
সংশ্নিষ্টরা জানান, বেবিচকের প্রশাসন বিভাগের বড় এক কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে চোরাকারবারি চক্রের বহন করা কোটি টাকার স্বর্ণবার পাচার করেন আবদুল হাকিম। এর আগেও তিনি স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে একাধিকবার গ্রেপ্তার হন। তবে তার বিরুদ্ধে জোরালো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
তবে বেবিচকের পরিচালক (প্রশাসন) জহিরুল ইসলাম জানান, আবদুল হাকিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর থানার মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সজিব চন্দ্র সরকার জানান, আবদুল হাকিম ছাড়াও ওই ঘটনায় আল আমিন ও মোবারক হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন