- রাজধানী
- ঈদ জামাতে জায়নামাজ আর ছাতা ছাড়া কিছু আনা যাবে না: ডিএমপি
ঈদ জামাতে জায়নামাজ আর ছাতা ছাড়া কিছু আনা যাবে না: ডিএমপি

রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাতে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে না আনার জন্য মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম ।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম রাজধানীবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘ঈদ জামাতে জঙ্গি হামলায় আশংকা নেই, তবে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ছাতা ও জায়নামাজ- এই দুটি জিনিস ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে আনবেন না।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের এই শহরে ঈদগাহের সংখ্যা কম। ঈদগাহ ও মসজিদ মিলে ১৪৬৮টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে কোন কোন জায়গায় হয়তো একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে সারা শহরে মুসলমান ভাইয়েরা ঈদ উদযাপন করবেন। প্রতিটি মসজিদ এবং ঈদগাহে যেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে তার প্রত্যেকটা জায়গায় আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ এলাকায় ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগে থেকেই ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হচ্ছে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। জাতীয় ঈদগাহে স্থাপিত অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে।
তল্লাশি করতে সময় লাগার কারণে ঈদগাহের জামাতে আগত মুসল্লিদের নির্ধারিত সময়ের একটু আগে আসার অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার। ঈদগাহে প্রবেশের পূর্বে সবাইকে তল্লাশি করা হবে, এজন্য গেইটে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হলেও সবাই ধৈর্য্যসহকারে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তিনি।
রোববার বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে; আর দেখা না গেলে ঈদ হবে মঙ্গলবার। সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধাত হবে, কবে ঈদ উদযাপন করবেন বাংলাদেশের মুসলমানরা।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত দুই বছর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত হয়নি। এবার সেখানে ৩৫ হাজার মানুষের জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের ৫০টা থানায় অতিরিক্ত ফোর্স দিয়েছি, ২৫০০ ফোর্স প্রতি রাত্রে ডিউটি করবে। প্রতি থানা থেকে ১০টা করে মোট ৫০০টি মোবাইল টিম মোতায়েন থাকবে। ঢাকা শহরকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক চেকপোস্ট থাকবে। ইতোমধ্যে থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে প্রায় ৫০০ ছিনতাইকারী ও চোরকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ যায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে আমাদের টিম থাকবে, সেখান থেকে মনিটর করা হবে কোথাও কোন অস্বাভাবিক কিছু ঘটছে কিনা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে দেওয়া পুলিশের নিরাপত্তা কৌশল প্রতিপালনের অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার।
এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণপদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ও ডিসি (ডিএমপি মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেনসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন