চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামামান অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করার পর দুপুর আড়াইটা পর্যন্তও উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজিরা ভিত্তিক কর্মচারীরা।

কর্মচারীদের দাবি, তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। তারা বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ১০ থেকে ১২ বছর আমরা দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক আছি। দৈনিক ৬০০ টাকায় আমরা পরিবার সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে পারি না। আমাদের নিয়োগ হচ্ছে না। আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এডহক বা স্থায়ী করার অনেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়। কিন্তু ঢাকার মধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নিয়োগ হয় না। এখানে অনেকের বয়সও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সার্টিফিকেট এর বয়সও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা এর সুরাহা চাই।’

তারা আরও বলেন, ‘চুক্তিভিত্তিক বাসচালক ও হেলপাররা বেতন ছাড়া কোনো বোনাস ভাতা পায় না। এমনকি কোনো উৎসব বা ঈদেও কোনো প্রকার ভাতা পায় না। এমনকি পরিবহনের টেকনিশিয়ান হেল্পাররা হাজিরা ভিত্তিক কাজ করছেন।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা আরও বলেন, ‘অর্গান অনুসারে আমাদের পদ কম, কিন্তু ইউজিসি দিচ্ছে না। অথচ শিক্ষকদের নিয়োগ চাইলেই পাওয়া যায়। তিনশ’ পদ চাইলে ইউজিসি ১০টা পদ দেয়। এটা আমাদের মনে হয়, ভিক্ষা দেয়। প্রয়োজনে আমরা ইউজিসি কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখবো।’

তবে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরাও চাই তাদের চাকরি স্থায়ী হোক। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যথেষ্ট পদ নেই। আমরা ইউজিসির কাছে আড়াইশ’র ওপরে পদ চেয়েছিলাম কিন্তু ইউজিসি পদ দিয়েছে মাত্র ১০টা। ইউজিসি যদি পদ না দেয় আমাদের কিছু করার নেই।’

এ ঘটনায় কর্মচারীদের দাবিগুলো লিখে জমা দিতে বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, তাদের দাবিগুলো লিখে জমা দিতে বলেছি। উপাচার্যের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।