- রাজধানী
- বাসার ভেতর ‘রহস্যজনক আগুনে’ নারী চিকিৎসক দগ্ধ
বাসার ভেতর ‘রহস্যজনক আগুনে’ নারী চিকিৎসক দগ্ধ

প্রতীকী ছবি
রাজধানীর ওয়ারীতে বাসার ভেতর ‘রহস্যজনক আগুনে’ গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অদিতি মণ্ডল নামে এক চিকিৎসক। শুক্রবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরের প্রায় ৫০ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। এদিকে আগুনের কারণ সম্পর্কে দু' রকমের বক্তব্য পাওয়া গেছে। স্বামীর ভাষ্য, এটি ছিল আত্মহত্যার চেষ্টা। অন্যদিকে স্বজনের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, এটি দুর্ঘটনা।
চকবাজার থানার ওসি কবির হোসেন হাওলাদার সমকালকে বলেন, নারী চিকিৎসক অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে ওয়ারীর ১০ নম্বর হেয়ার স্ট্রিটের ষষ্ঠ তলার বাসাটি তালাবদ্ধ ছিল। হাসপাতালে পুলিশ গেলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি সেরে উঠলে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হবে। স্বজনরা বলছেন, পূজা করার সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে আগুন ধরে যায়। প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ডা. অদিতির স্বামী মনেশ মণ্ডল পেশায় প্রকৌশলী। তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার স্ত্রী সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। তিনি অনেকদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার মধ্যে বিষণ্নতাও ভর করেছিল। এজন্য তাকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে তিনি চিকিৎসা নিতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মৃদু বাকবিতণ্ডা হয়। পরে শুক্রবার সকালে মানেশ বাসা থেকে বের হয়ে নিজের কাজে যান। তিনি অনলাইনে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মোবাইল ফোনে কল দেন স্ত্রী। ব্যস্ত থাকায় তিনি কেটে দেন। তবে তারপরও বারবার কল দিচ্ছিলেন অদিতি। এতে বিরক্ত হয়ে তিনি কল রিসিভ করে রাগান্বিত কণ্ঠে তার সঙ্গে কথা বলেন।
মনেশ জানান, ওই ঘটনার পর দুপুরে বাসায় ফিরে পোশাক পাল্টানোর সময় হঠাৎ পাশের ঘরে স্ত্রীর চিৎকার শুনতে পান। তখনই ছুটে গিয়ে দেখেন, স্ত্রীর শরীরে আগুন জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমে নিয়ে তার শরীরে পানি ঢালেন। এরপর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার ধারণা, অদিতি নিজেই তার গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে পূজার সময় তার শরীরে আগুন লাগার সম্ভাবনাও তিনি উড়িয়ে দেননি।
ওয়ারী থানা পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে সংশ্নিষ্ট কেউ এখনও পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। তবে পুলিশ ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখছে।
মন্তব্য করুন