জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত হন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান। ঢাবির সব কার্যক্রম থেকে স্থায়ী বহিস্কার সত্ত্বেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনে বিধিবহির্ভূতভাবে বাস করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে বাসা থেকে উচ্ছেদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মোর্শেদ স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত হন। তা সত্ত্বেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর ফুলার রোডের আবাসিক ভবনে বাস করছেন। তাঁর বাসায় বিএনপি নেতাদের নিয়মিত যাতায়াত বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাবে গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করেন বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী। সেখানেও মোর্শেদ হাসানকে দেখা গেছে। গত ১৩ জুন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) ১৪১ সদস্যের কমিটি অনুমোদন করে বিএনপি। এতে মোর্শেদ হাসান খানকে মহাসচিব করা হয়েছে। গত বুধবার গঠিত বিএনপির ১০ সদস্যের মিডিয়া সেলেও আছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবনে তাঁর থাকা প্রসঙ্গে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, উপাচার্য দেশের বাইরে আছেন। তিনি এলে এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে অধ্যাপক মোর্শেদকে বাসা থেকে উচ্ছেদ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলটিমেটাম দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। গত বৃহস্পতিবার মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে কটূক্তিকারী চাকরিচ্যুত শিক্ষক ও বিএনপি নেতা মোর্শেদ হাসান খান অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসায় বসবাস করছেন, যা আইন পরিপন্থি। অবিলম্বে তাঁর বাসা বরাদ্দ বাতিল করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে বাসা থেকে বের না করলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন তাঁরা।