ভোট দেওয়া ও ইভিএমের কারিগরি বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় যাচ্ছে না বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠেয় মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের জন্য দল দুটিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

সোমবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবের কাছে পাঠানো পৃথক চিঠিতে বাসদ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে। বাসদ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ না করার কারণ জানিয়েছে এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করে এ বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেছে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বাসদ ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর ও ২০১১ সালের ২৭ জুন দুটি মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল। কমিশন এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য বিবেচনার আশ্বাস দিলেও পরে কোনো কিছুই বাস্তবায়ন করতে দেখা যায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাসদ বিগত দিনে যেসব প্রস্তাব দিয়েছিল, তা আজও প্রাসঙ্গিক। ফলে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করা অর্থহীন। এ কারণে এবারের মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করছে না তারা। তবে বর্তমান কমিশনের বিবেচনার সুবিধার্থে আগের প্রস্তাবগুলো চিঠির সঙ্গে আবারও পাঠানো হয়েছে।
ইসিতে পাঠানো বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি চালু না করার পক্ষে সাত দফা যুক্তি তুলে ধরা হয়। যুক্তিগুলো হচ্ছে- ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রস্তুতির অভাব; এ পদ্ধতিতে সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোটের ফলাফল নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকা; কেউ ফলাফল নিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করলে পুনরায় ভোট গণনার সুযোগ না থাকা; হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল ওলটপালট করার আশঙ্কা; ভোটারদের শিক্ষা-চেতনার ঘাটতি ও ভোটকেন্দ্রে পেশিশক্তির উপস্থিতিতে সৃষ্ট সংকট; নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা না থাকা এবং বিরোধী সব রাজনৈতিক দলসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত দলের জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির বিরোধিতা করা।