- রাজধানী
- গাবতলী কাঁপাচ্ছে 'ডন' ও 'বাদশা'
গাবতলী কাঁপাচ্ছে 'ডন' ও 'বাদশা'

বাদশা (বামে) ও ডন (ডানে)
রাজধানীর গাবতলীতে কোরবানির পশুর হাট কাঁপছে 'ডন' ও 'বাদশার' ঝড়ে। ষাঁড় দুটিকে নিয়ে রীতিমতো হৈ হৈ কাণ্ড রৈ রৈ ব্যাপার। এদের কেন্দ্র করে উপচে পড়া ভিড় মানুষের। কেউ এক পলক দেখতে এসেছেন, কেউ ছবি তুলে নিচ্ছেন, কেউ বা আবার এদের বেঁধে রাখছেন 'সেল্ফিতে'।
গরু দুটিকে হাটের সবচেয়ে বড় বলে দাবি করছেন এদের মালিক। ওজন ও দেহের বিশালতা বিবেচনায় এই বাহারি নাম দেওয়া হয়েছে। তবে প্রচণ্ড গরমে নাকাল 'ডন' ও 'বাদশা'।
খামারের মালিকের পরম আদরে বেড়ে ওঠা গরু দুটি কোনোভাবেই মানিয়ে নিতে পারছে না ব্যস্ততম গাবতলী পশুহাটের তাপমাত্রা। বৈদ্যুতিক পাখার নিচে লালিত-পালিত 'ডন' ও 'বাদশা' গরমে শুধু ছটফট করছে ও হাঁপাচ্ছে। শরীরের ওজন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে এদের।
'বাদশা' নামের গরুটি বরিশালের মুলাদি থেকে এনেছেন মো. সানাউল্লাহ। তিনি এর দাম চাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা। গায়ের কিছু অংশ ধবধবে সাদা, কিছু অংশ কুচকুচে কালো। খয়েরি রঙের খাটো দুটি সিংও আছে।
সানাউল্লাহ জানান, হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের ৯ মাসের একটি বাছুরকে চার বছর ধরে লালন-পালন করে এতটা বড় করে তুলেছেন। প্রতিদিন তাকে খাইয়েছেন গম, বিভিন্ন ধরনের ভুসি, কাঁচা ঘাস ও খিচুড়ি, সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে শিশুর মতো আদরে পালন করেছেন একে। গরম পড়ার পর থেকেই সবসময় ফ্যানের বাতাসে রাখতে হয়। তাপমাত্রা বাড়লেই নাদুসনুদুস শরীরটা নিয়ে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। বেশি গরম পড়ায় সবসময় শুয়েই থাকতে চায় বাদশা। নতুন পরিবেশে তার ভালো লাগছে না। হাটের ওজন মাপার যন্ত্রে এর ওজন উঠেছে ১ হাজার ৫৯৬ কেজি।
এদিকে কুচকুচে কালো 'ডন'কে হাটে তুলেছেন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের পশু ব্যবসায়ী আবুল কাশেম। এটিও ফ্রিজিয়ান জাতের, বয়স চার বছর। খিচুড়ি ছাড়া খাবারের মেন্যুও প্রায় একই। ডনের সুবিধার জন্য আবুল কাশেম একটি স্ট্যান্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করেছেন। তারপরও উঠে দাঁড়াতে চাইছে না গরুটি। শুয়েই কাটাচ্ছে অধিকাংশ সময়। এর দাম চাইছেন ২৫ লাখ টাকা।
মন্তব্য করুন