হেলাল হাফিজ অসুস্থ, সিএমএইচে ভর্তি

অসুস্থ হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আছেন কবি হেলাল হাফিজ। দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

গণমাধ্যমকে কবি হেলাল হাফিজ বলেন, ‘সকাল থেকে এখানে টেস্টগুলো শুরু হয়েছে। এখন চক্ষু বিভাগে আছি। এখানে টেস্ট হচ্ছে। শরীরটা ভালো যাচ্ছে না, মনটাও ভালো নেই। আমার জন্য দোয়া করবেন, সবাইকে দোয়া করতে বলবেন। ভালো থেকো সবাই।’

কবি হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় হেলাল হাফিজকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অধ্যাপক কামরুল হাসানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে জানিয়ে হেলাল হাফিজ বলেন, ‘খাওয়া-দাওয়া ভালোভাবে করতে পারছি না। হাটা-চলায়ও কষ্ট হচ্ছে।’ গত বছরও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কবিকে সিএমএইচে কিছুদিন থাকতে হয়েছিল।

১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণায় জন্ম হেলাল হাফিজের। সেখানে স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে পরের ধাপে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে দৈনিক পূর্বদেশে সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি। পূর্বদেশ ও দৈনিক দেশ পত্রিকায় তিনি সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। দৈনিক যুগান্তর ছিল তার সর্বশেষ কর্মস্থল।

১৯৮৬ সালে প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ 'যে জ্বলে আগুন জ্বলে' কবিকে নিয়ে যায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এরপর বইটির ৩৩টির বেশি সংস্করণ বেরিয়েছে। দীর্ঘ সময় নিজেকে অনেকটা আড়ালে সরিয়ে নিয়েছিলেন হেলাল হাফিজ। একটিমাত্র কাব্যগ্রন্থে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার আড়াই দশক পর ২০১২ সালে পাঠকদের জন্য আনেন দ্বিতীয় বই 'কবিতা ৭১'।

দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলেনের সময় হেলাল হাফিজের 'নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়'র পঙক্তি 'এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়' উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে।

দেশে খ্যাতি পাওয়া হেলাল হাফিজ সাহিত্যে ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।