গণসংগীতের প্রসঙ্গ এলে নাম আসে ফকির আলমগীরের। সংগীতের এ ধারাটি গতি পেয়েছে তাঁর মতো শিল্পীর কারণে। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণির শ্রোতার কাছে সমাদৃত হয়েছে তাঁর গান। গানে গানে তিনি মানুষের কথা বলেছেন। সেই সুবাদে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধ ছিলেন তিনি। 

শনিবার শিল্পকলা একাডেমিতে ফকির আলমগীরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশিষ্টজনরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ।

গানের সুরে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মঞ্চে আসে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। অনেক কণ্ঠ মিলে যায় এক সুরে। এরপর আলোচনার আগে ফকির আলমগীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পালন করা হয় এক মিনিটের নীরবতা। আলোচনা পর্বে বক্তারা ফকির আলমগীরকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রদান এবং তাঁর গাওয়া গান সংরক্ষণের দাবি জানান।

স্মরণের এ আয়োজনে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শিল্পীকে নিবেদিত আলোচনায় অংশ নেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি, লেখক ও গবেষক গোলাম কুদ্দুছ ও জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি সুরাইয়া আলমগীর ও গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট।

ফকির আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর শিল্পীর স্মৃতিচারণ করে তাঁর গাওয়া সব গণসংগীত সংরক্ষণের আহ্বান জানান। কে এম খালিদ বলেন, ফকির আলমগীরের গান মানুষের হৃদয়ে আবেগ সৃষ্টি করত।

গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ফকির আলমগীর প্রতিবাদী চরিত্রের মানুষ ছিলেন। সংস্কৃতি ও রাজনীতির সঙ্গে সমানতালে যুক্ত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে একক সংগীত পরিবেশন করেন আরিফ রহমান ও আবিদা রহমান সেতু। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, ভিন্নধারা, পঞ্চভাস্কর, সমস্বর ও উঠোনের শিল্পীরা অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন।