
বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে ও নারীর প্রতি সহিংসতা কমছে না। অহরহ ঘটছে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনাও। পৈতৃক সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন নারীরা। এ প্রেক্ষাপটে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপে জাতিসংঘের সনদ সিডওর গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধারার ওপর থেকে বাংলাদেশ সরকারের 'সংরক্ষণ' তুলে নিতে দাবি জোরালো হচ্ছে।
নারী-পুরুষ সমতা বিধানের লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে সিডও সনদ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ এ সনদে সই করে ১৯৮৪ সালের ৬ নভেম্বর। সিডওর দুটি ধারার ওপর থেকে আপত্তি তুলে না নেওয়ার ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে উন্নয়ন প্রতিবেদনে সরকার যুক্তি দেখিয়েছে, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে তালাক ও সম্পত্তি বণ্টন হয়। তবে ভবিষ্যতে আপত্তি তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও ছয় বছরে কোনো অঙ্গীকার করেনি সরকার।
সিডও সনদের ২ নম্বর ধারায় বলা আছে, নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে অংশীদার দেশগুলো আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে এবং আইনের সংস্কার করবে। সনদের ১৬.১(গ) ধারায় বিয়ে এবং তালাকের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে। অধিকারকর্মীসহ সংশ্নিষ্টরা মনে করেন, দেশে বৈষম্যের মূলোৎপাটন করে নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠায় এ দুই ধারা থেকে আপত্তি তুলে নিয়ে সিডও পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
এ প্রেক্ষাপটে আজ শনিবার পালিত হচ্ছে 'কনভেনশন অন দ্য ইলিমিনেশন অব অল ফর্মস অব ডিসক্রিমিনেশন অ্যাগেইনস্ট উইমেনস' বা নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ সিডও দিবস। সনদটি নারী অধিকার রক্ষার আন্তর্জাতিক দলিল হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের ৫৭টি মানবাধিকার ও নারী অধিকার সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় প্ল্যাটফর্ম সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভস অন সিডও (সিআইসি-বিডি) ২০০৭ সালের অক্টোবর থেকে এ সনদের পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়নে কাজ করছে।
সিআইসি-বিডি সমন্বয় করছে স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট। এ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার জানান, সরকার সিডও সনদে সই করলেও দীর্ঘদিন ধরে সনদের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধারায় সংরক্ষণ বজায় রেখেছে। অথচ এ দুই ধারা হচ্ছে সিডও সনদের প্রাণ।
তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংরক্ষণ প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে কার্যকর উদ্যোগ ও তৎপরতায় ঘাটতি আছে। বিষয়টি বাংলাদেশের সংবিধান, নারী উন্নয়ন নীতিমালা ও অন্যান্য জাতীয় এবং বৈশ্বিক অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সিডও কমিটির ২০১৬ সালের সমাপনী অভিমতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ছিল- অনতিবিলম্বে অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন। অথচ এ আইন প্রণয়নে সরকারের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই।
মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম সমকালকে বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। অথচ সিডওর দুটি ধারায় এখনও 'সংরক্ষণ' বজায় রেখেছে, যা বিপরীতমুখী। তিনি বলেন, আপত্তি তুলে নিতে কারণ হিসেবে যে ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর যুক্তি দেখাচ্ছে, তা আর কত দিন দেখাবে সরকার! তিনি বলেন, এখন তো নারীর পোশাক, কপালে টিপ পরা নিয়েও যুক্তি দিচ্ছে তারা। যে কাজেই নারী এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। ধারা দুটো থেকে 'সংরক্ষণ' উঠিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নারী-পুরুষ সমতা বিধানের লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে সিডও সনদ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ এ সনদে সই করে ১৯৮৪ সালের ৬ নভেম্বর। সিডওর দুটি ধারার ওপর থেকে আপত্তি তুলে না নেওয়ার ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে উন্নয়ন প্রতিবেদনে সরকার যুক্তি দেখিয়েছে, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে তালাক ও সম্পত্তি বণ্টন হয়। তবে ভবিষ্যতে আপত্তি তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও ছয় বছরে কোনো অঙ্গীকার করেনি সরকার।
সিডও সনদের ২ নম্বর ধারায় বলা আছে, নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে অংশীদার দেশগুলো আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে এবং আইনের সংস্কার করবে। সনদের ১৬.১(গ) ধারায় বিয়ে এবং তালাকের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে। অধিকারকর্মীসহ সংশ্নিষ্টরা মনে করেন, দেশে বৈষম্যের মূলোৎপাটন করে নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠায় এ দুই ধারা থেকে আপত্তি তুলে নিয়ে সিডও পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
এ প্রেক্ষাপটে আজ শনিবার পালিত হচ্ছে 'কনভেনশন অন দ্য ইলিমিনেশন অব অল ফর্মস অব ডিসক্রিমিনেশন অ্যাগেইনস্ট উইমেনস' বা নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ সিডও দিবস। সনদটি নারী অধিকার রক্ষার আন্তর্জাতিক দলিল হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের ৫৭টি মানবাধিকার ও নারী অধিকার সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় প্ল্যাটফর্ম সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভস অন সিডও (সিআইসি-বিডি) ২০০৭ সালের অক্টোবর থেকে এ সনদের পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়নে কাজ করছে।
সিআইসি-বিডি সমন্বয় করছে স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট। এ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার জানান, সরকার সিডও সনদে সই করলেও দীর্ঘদিন ধরে সনদের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধারায় সংরক্ষণ বজায় রেখেছে। অথচ এ দুই ধারা হচ্ছে সিডও সনদের প্রাণ।
তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংরক্ষণ প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে কার্যকর উদ্যোগ ও তৎপরতায় ঘাটতি আছে। বিষয়টি বাংলাদেশের সংবিধান, নারী উন্নয়ন নীতিমালা ও অন্যান্য জাতীয় এবং বৈশ্বিক অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সিডও কমিটির ২০১৬ সালের সমাপনী অভিমতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ছিল- অনতিবিলম্বে অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন। অথচ এ আইন প্রণয়নে সরকারের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই।
মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম সমকালকে বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। অথচ সিডওর দুটি ধারায় এখনও 'সংরক্ষণ' বজায় রেখেছে, যা বিপরীতমুখী। তিনি বলেন, আপত্তি তুলে নিতে কারণ হিসেবে যে ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর যুক্তি দেখাচ্ছে, তা আর কত দিন দেখাবে সরকার! তিনি বলেন, এখন তো নারীর পোশাক, কপালে টিপ পরা নিয়েও যুক্তি দিচ্ছে তারা। যে কাজেই নারী এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। ধারা দুটো থেকে 'সংরক্ষণ' উঠিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিষয় : নারী বৈষম্য সিডও দিবস
মন্তব্য করুন