সম্প্রতি গেজেট আকারে প্রকাশিত সংশোধিত (২০২২-২০৩৫) ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়ন করা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছে নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। 

সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ মনে করেন, রাজধানী বাসীর একটি সমস্যার সমাধানও রাজউক দিতে পারেনি। তাদের প্রধান কাজ উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ। সেখানেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। রাজধানীর কয়টি ভবন তারা নিয়ম মেনে করতে পেরেছে। তাদের রিপোর্টেই আছে তারা এ কাজে ব্যর্থ।

শনিবার রাজধানীর বাংলা মোটরের প্ল্যানার্স টাওয়ারে বিআইপির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বক্তব্য উঠে আসে। ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত রাষ্ট্র গঠনে পরিপূর্ণ ড্যাপ বাস্তবায়নে বিআইপির দাবির বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ড্যাপের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন বিআইপির সভাপতি ফজলে রেজা সুমন।

বিআইপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, এই ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজউক যোগ্য অবস্থানে নেই। তাদের বোর্ড সদস্যরা কয়েক বছরের জন্য আসেন। কিছু দিন পরই চলে যান। তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। পেশাজীবীদের দিয়ে রাজউক বোর্ড তৈরি করতে হবে। তাহলে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হয়ে যাবে। সংশোধিত ড্যাপ ভালো হলেও সেটা বাস্তবায়ন করতে হলে স্থানীয় সরকারগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক ও সমন্বয় করতে হবে। তাদেরকে একটা সময় দিতে হবে।

জ্যেষ্ঠ নগর পরিকল্পনাবিদ শওকত হোসেন বলেন, মহিষ যেমন জবাই করলে গরু হয়ে যায়, রাজধানীর ফুটপাতেরও তেমন অবস্থা। কিন্তু ফুটপাত যে কেবল পথচারীদের সেটা যদি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে ফুটপাত কাগজ-কলমে রেখে লাভ হবে না। ভালো ড্যাপ করা হলো। কিন্তু তার সঠিক বাস্তবায়ন না হলে এর সুফল মিলবে না।

ফজলে রেজা সুমন বলেন, আবাসন ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন ড্যাপে ফ্লোর স্পেস কমে যাবে। ফ্ল্যাটের দাম কমে যাবে। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধিসহ ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধির অনেক কারণ থাকতে পারে। গুলশান আর পীরেরবাগ এলাকায় ফ্ল্যাটের দাম এক হওয়ার কথা নয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিআইপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।