নিজের পোশাক কারখানার এক কর্মীর অসুস্থ মাকে দেখতে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। ফেরার পথে হেঁটে যাওয়ার সময় রাজধানীর উত্তরা-৯ নম্বর সেক্টরের দুই নম্বর সড়কে তাকে ধাক্কা দেয় একটি প্রাইভেটকার। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনায় দায়ী প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে। সেটির মালিক সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়িতেই ছিলেন। তবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার নিয়োগ করা চালক মো. হাসান। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক আছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

পুলিশ ও স্বজনের সূত্রে জানা যায়, ঢাকার দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ এলাকার গণকবরস্থান সড়কের এক নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন দেলোয়ার হোসেন। ওই বাসাতেই তার একটি ছোট পোশাক কারখানা আছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি এক রোগীকে দেখতে উত্তরার একটি হাসপাতালে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোনারগাঁও জনপথ রোড থেকে আসা একটি বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-২১৫২) তাকে ধাক্কা দেয়।

নিহতের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার এজাহারে উল্লেখ করেন, আশপাশের লোকজন গাড়িটি আটক করেন এবং রক্তাক্ত দেলোয়ার হোসেনকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।  পরে সেখানে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, দেলোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় সেখানেই তার লাশ দাফন করা হয়।