এশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী এবং মৃতের সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এডিস বা ডেঙ্গু নিয়ে ২০১৯ সালে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলেও ২০২০, ২১ ও ২২ সাল- এই তিন বছর আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমরা সফলতা অর্জন করেছি। কিন্তু আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছেতে পারিনি। বর্তমানে আবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আমরা এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভালো আছি।

আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত ডেঙ্গু বিষয়ক পর্যালোচনায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় রাজধানীর দুই মেয়র মশকনিধনে তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সিটি করপোরেশনে পাঠানো ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একই রোগীর নাম একাধিক দিন থাকা, বিভিন্ন রোগীর একই ফোন নম্বর থাকাসহ নানা অসঙ্গতি উল্লেখ করেন। এতে মশকনিধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সমস্যা হয় বলেও উল্লেখ করেন তারা।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম চলতি বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৭০ জন, ভারতে ৩০ হাজার ৬২৭ জন, মালয়েশিয়ায় ৩৩ হাজার, ফিলিপাইনে ৮২ হাজার ৫৯৭ জন, কম্বোডিয়াতে ৩ হাজার ৩২২ জন, ভিয়েতনামে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৬ জন, ইন্দোনেশিয়াতে ৬৮ হাজার ৯০৩ জন। আর বাংলাদেশে মাত্র ৯ হাজার ৮৩৭ জন।