গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন মীরাক্লেলখ্যাত জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি। তার এই দুর্ঘটনায় ভারতের প্রচুর অনুরাগীও বিপুল দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে দুর্ঘটনার শিকার হন রনি। এ দগ্ধ ও আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। আহতদের প্রথমে শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের মধ্যে আবু হেনা রনি, জিল্লুর রহমান ও মোশারফ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

রনির এই দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার আরোগ্য কামনায় ভরে গেছে। যারা তার আরোগ্য কামনা করছেন, সেই তালিকায় আছেন জনপ্রিয় কৌতুক শো মীরাক্লেল সঞ্চালক মীর আফসার আলিও।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মীরাক্কেল’ নামক অনুষ্ঠানে মীরের সঙ্গে কাজ করেছিলেন রনি। সেই থেকে দু’জনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। খবর পেয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় রনির জন্য প্রার্থনা করেছেন মীর। তিনি লিখেছেন, ‘আবু হেনা রনি নিজেই আগুন। ওকে পোড়ায় কার সাধ্য? দোয়া করবেন সবাই।’

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রফিকুল ইসলাম জানান, আবু হেনা রনির অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবচেয়ে বেশি দগ্ধ হয়েছেন তিনি। তার শরীরের ২৫-৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঞ্চে বেলুন উড়িয়ে জিএমপি পুলিশের চার বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করছিলেন। বেলুনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত ভারে বেলুনগুচ্ছ আকাশে উড়তে পারেনি। তাই অবশেষে সাদা পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ অতিথিরা অনুষ্ঠানমঞ্চে গেলে, একজন পুলিশ বেলুনগুলোকে এক পাশে নিয়ে যান। বেলুন বিক্রেতা বেলুনগুলো আগুন ধরিয়ে ওড়ানোর চেষ্টা করেন। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময়ে আবু হেনা রনি-সহ পাঁচ জন দগ্ধ হন। পুলিশকর্মীরা পানি ঢেলে আগুন নেভান।

মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ‘বেলুন নিয়ে মঞ্চের পিছনে যাওয়ার পর কয়েক জন বেলুনে লাগানো ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ’ লেখা ফেস্টুনটিকে বেলুন থেকে খুলতে চেষ্টা করতে থাকে। তখন কেউ একজন ফেস্টুনের সুতো লাইটার জ্বালিয়ে আলাদা করার চেষ্টা করেন। তখনই আগুন লেগে বেলুনে বিস্ফোরণ হয়।’