ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন না থাকলে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ বেড়ে যেত বলে মনে করেন ডাক, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, এই আইনের জন্য তিনি প্রচুর গালি খান। কিন্তু এই আইন না থাকলে কী পরিমাণে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ঘরবাড়ি লুট, সাইবার বুলিং ও মেয়েরা উত্ত্যক্তের শিকার হতো- তার হিসাব থাকত না।

শনিবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর ডেমোক্রেসির (এনইডি) সহযোগিতায় বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, সাইবার অপরাধ রোধে ইতোমধ্যে ২২ হাজার পর্নোসাইট, ছয় হাজারের মতো জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে সংঘটিত অপরাধ প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল যুগে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং ভবিষ্যৎমুখী হতে হবে। তাদের ডিজিটাল যুগের জন্য সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও এ-সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। অনুষ্ঠানো বক্তব্য দেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বিইআইর বোর্ড মেম্বার ও মিনহাজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ কামাল খান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন বিইআই সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির। এতে রাজশাহী সদর ও পবা উপজেলায় বিইআই পরিচারিত 'গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে প্রযুক্তির ভূমিকা' শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের সার্বিক দিক তুলে ধরেন বিইআইর সহকারী পরিচালক নিপা ঘোষ।