- রাজধানী
- নিরাপদ সড়ক দিবসের সচেতনতায় পাথওয়ের র্যালি
নিরাপদ সড়ক দিবসের সচেতনতায় পাথওয়ের র্যালি

সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে পাথওয়ের র্যালি। ছবি-সংগৃহীত
'জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস' উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে র্যালির আয়োজন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ে। 'আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি' এমন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শনিবার দুপুরে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে এক বিশেষ র্যালির আয়োজন করা হয়।
সব শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে র্যালিটি পাথওয়ের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে মিরপুর-১০ টু ১৪নং প্রধান সড়কের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। সে সময় তাদের হাতে নিরাপদ সড়ক দিবসের বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন ও ব্যানার দেখা যায়।
র্যালি শেষে দিবসটির তাৎপর্য সম্পর্কে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন বলেন, এখন সড়ক যেন, 'মৃত্যু ফাঁদ'। আতঙ্ক নিয়ে সড়কে নামতে হয়, পরিবার কিংবা আপনজনদের কাছে ফিরে যেতে পারবো কিনা শঙ্কা জাগে? এমন দুঃস্বপ্ন বহুদিন বহুকাল ধরে তাড়া করছে।
তিনি বলেন, লক্কড়-ঝক্কর ফিটনেস ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়ক ও মহাসড়কে সর্বত্র। সারাদেশে কেবল মাত্র একটি ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার সচল, বাকি সবকটি অচল, এখানেও রয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বড় রকমের উদাসীনতা। শুধুমাত্র একটি ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার দেখিয়ে সারা দেশের গাড়ির ফিটনেস দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে জেলা পর্যায়ে বিআরটিএ'র পরিস্থিতি আরও বেশি নাজুকও ভঙ্গুর বলেও উল্লেখ করে পাথওয়ের নির্বাহী পরিচালক বলেন, স্বল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে ডিসি অফিসের দু-চারটি রুম দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে বিআরটিএ এর সেবা কার্যক্রম। যেখানে প্রতিদিন শত শত কোটি টাকা রেভিনিউ আদায় করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অথচ জেলা পর্যায়ে সারাদেশে কোথাও নেই বিআরটিএ'র নিজস্ব ভবন।
দক্ষতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এ এক মারাত্মক ত্রুটি উল্লেখ করে নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন বলেন, বিআরটিএ'র অনুমোদিত নির্দিষ্ট প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ ছাড়াই নামমাত্র লার্নার লাইসেন্স ও ভুয়া সার্টিফিকেট সনদ দেখিয়ে লাখ লাখ অদক্ষ চালক ১০ মিনিটের জিগজ্যাগ পরীক্ষা ১ মিনিটে শেষ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার এমন উদাসীনতাকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া ঠিক নয়।
ডোপ টেস্ট সব চালকের জন্যই অতি জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধুমাত্র পেশাদার চালক নয়, ডোপ টেস্ট প্রয়োজন পেশাদার-অপেশাদার উভয়ের। কেন না সড়ক ব্যবহারে উভয়েই সমান এবং সড়ক দুর্ঘটনা উভয় পেশার চালকের মাধ্যমেই ঘটছে। তাই এখানে কোন একটিকে ছোট করে দেখলে হবে না। চালকের আসনে যেই বসেন না কেন। নিয়ম মেনে গাড়ি চালাতে হবে সবাইকে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
মন্তব্য করুন