- রাজধানী
- দাবি আদায়ে রোডমার্চ করবে ঐক্য পরিষদ
সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন
দাবি আদায়ে রোডমার্চ করবে ঐক্য পরিষদ

সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে শনিবার রাজধানীর শাহবাগে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের গণঅনশনে অংশ নেন বিশিষ্টজন -সমকাল
আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। সব শেষ নির্বাচনের আগে দেওয়া এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হলে আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি সারাদেশ থেকে রোডমার্চ নিয়ে রাজধানীতে এসে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেবে সংগঠনটি।
গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন থেকে আন্দোলনের নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ জানান, দাবি আদায়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকা অভিমুখে রোডমার্চ করে ৭ জানুয়ারি বেলা ৩টায় শাহবাগ চত্বরে সমবেত হবেন ঐক্য পরিষদ নেতাকর্মীরা। এর পর পদযাত্রা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি দলের আগের নির্বাচনী ইশতেহারে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের দাবিতে বেশকিছু দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে ঐক্য পরিষদ। এই আন্দোলনের তৃতীয় পর্যায়ে শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
কেন্দ্রীয় গণঅনশনের ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করার কথা বলা হয়েছিল। তবে মেয়াদ শেষের পথে এলেও সরকার এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি।
গণঅনশনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মানবাধিকার নেতা খুশী কবির, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আলী ফারুকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ আলী হোসাইন, জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. অসীম সরকার প্রমুখ।
বক্তব্য দেন ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও, কেন্দ্রীয় নেতা কাজল দেবনাথ, বাসুদেব ধর, জয়ন্ত সেন দীপু, মিলন কান্তি দত্ত, মঞ্জু ধর, যোসেফ সুধীন মন্ডল, জয়ন্ত রায়, ড. প্রশান্ত কুমার রায়, তাপস কুমার পাল, নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, হরিচাঁদ মন্ডল সুমন প্রমুখ।
এ ছাড়া বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য দেন জেএল ভৌমিক, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, হেমন্ত আই কোড়াইয়া, পলাশ কান্তি দে, ড. এমকে রায়, রাজ কুমার দাস, অতুল চন্দ্র মন্ডল, চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, সাজু চৌধুরী, হিমাংশু সিংহ, পংকজ কুমার সাহা, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, বিভাস রঞ্জন বিশ্বাস, সুনীল রঞ্জন বিশ্বাস, সুপ্রীয়া ভট্টাচার্য প্রমুখ।
মন্তব্য করুন