ভাঙনের হাত থেকে যমুনা নদীর তীরের একাংশ সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোববার বিকেলে গ্রীনরোড পান্থপথের পানি ভবনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (সিআইএল) ও চীনের হংজিয়াং নিউ জিও-ম্যাটেরিয়াল কোং লিমিটেড (জেভি) ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মো. রুহুল আমিন এবং সিআইএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান করিম চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন। এ সময় পনি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহপরিচালক (পরিকল্পনা) উ. জিয়া উদ্দীন বেগ, অতিরিক্ত মহপরিচালক (পূর্বাঞ্চল) মো. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত মহপরিচালক (পশ্চিমাঞ্চল) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি অনুযায়ী সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার উজানে নদীটির বাম তীরের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্ভুক্ত একাংশ জিওটেক্স্টাইল ব্যাগ ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা হবে। এই প্রকল্পে মোট ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭৬টি জিওটেক্সটাইল ব্যাগ ব্যবহৃত হবে। এর আগে দেশে আর কোনো একক প্রকল্পে এত বেশি সংখ্যক জিও ব্যাগ সরবরাহ বা ব্যবহার করা হয়নি।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থ সহায়তায় এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪,০০৬,৯৬৩ দশমিক ২৮ মার্কিন ডলার এবং ৩২,৪৭,৮০,১৮৬ দশমিক ৪০ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরের নভেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড নারায়ণগঞ্জে জিও ব্যাগ তৈরির একটি কারখানা স্থাপন করেছে। এই কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি মাসে ১০ লাখ পিসেরও বেশি। সুতরাং এই প্রকল্প ছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভবিষ্যৎ প্রকল্পসমূহেও জিও ব্যাগ পেতে কোনো সমস্যা হবে না।

যমুনা নদীর ভাঙনে প্রতি বছর প্রচুর ফসল ও বাড়ি-ঘরের ক্ষতি হয়। যে এলাকার জন্য বর্তমান প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে সেটি অতি ভাঙনপ্রবণ। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ওই এলাকার নদীতীর দীর্ঘদিন ভালোভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি