- রাজধানী
- বিমানের লোকসান ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে
সংসদে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব
বিমানের লোকসান ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে

বৃহস্পতিবার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রত্নার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ অর্থ বছরে বিমানে ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে। এই ধারা ২০২১-২২ অর্থবছরেও বহাল রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকেট বিক্রি করে এক হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে বিমান বাংলাদেশ।টিকিটের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় বিমানকে অনেক লোকসান গুনতে হত বলে জানান বিমান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বর্তমানে ডায়নামিক প্রাইসিং পলিসি গ্রহণের কারণে টিকিটের মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় কঠোরভাবে মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে এবং বিমানের রাজস্ব বাড়ছে।
অভ্যন্তরীণ পরিবীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও অডিটের মাধ্যমে বিমানের টিকিটের বিক্রির বিক্রয় মূল্য কমিয়ে ১৪ শতাংশ হতে ১২ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। বিমানের সময়সূচি বিশ্বমানের হয়েছে। বর্তমানে বিমান ৮০ শতাংশ ওটিপি (অন টাইম পারফমেন্স) অর্জন করেছে বলে জানান বিমান প্রতিমন্ত্রী।
বিমানের দক্ষ গ্রাউন্স হ্যান্ডিলিংয়ের মাধ্যমে লাগেজ ডেলিভারির সময় গড়ে ৪৫ মিনিটে নামিয়ে আনা হয়েছে। যা ৩০ মিনিটে নামিয়ে আনার কাজ করে যাচ্ছে বলেন জানান মাহবুব আলী।
লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এ বছর ৪৫ কোটি টাকার জিএসই ইক্যুইপমেন্ট কেনা হয়েছে। এছাড়া আরও ৮০ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের ইক্যুইপমেন্ট শীঘ্রই সংযোজন করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে ১১৩ কোটি টাকার জিএসই ইক্যুইপমেন্ট কেনা হবে হবে।
প্রতিনিয়ত লাভজনক বিভিন্ন রুট চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং সক্ষমতা অনুযায়ী নতুন নতুন গন্তব্যে বিমান তার যাত্রা শুরু করছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। সম্প্রতি চীনের গুয়াংজু এবং কানাডার টরেন্টো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করা হয়েছে। মালে (মালদ্বীপ) ও নারিতা (জাপান) রুটে ফ্লাইট শুরু করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
নাসরিন জাহান রত্নার আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারের বরিশাল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইয়োসিন হিরিম সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ করে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।
বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়ে ৬ হাজার ফুট থেকে সাড়ে সাত হাজার ফুটে উন্নীতকরণ এবং রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধির জন্য রানওয়ের ওপর এসফল্ট কনক্রীট ওভারলেকরণের নিমিত্ত পুনর্গঠিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রস্তুত কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
মন্তব্য করুন