- রাজধানী
- শাহজালালে পানি নিস্কাশনে নিম্নমানের পাইপ
শাহজালালে পানি নিস্কাশনে নিম্নমানের পাইপ

ছবি: সমকাল
টেন্ডার ছাড়াই পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের সামনের পানি নিস্কাশন কাজে নিম্নমানের আরসিসি পাইপ বসানোর অভিযোগ উঠেছে বেবিচক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পাথরের টুকরো দিয়ে এসব পাইপ তৈরির কথা থাকলেও সেগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে ইটের খোয়া। দুর্বল পাইপের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে বলে জানান সহকারী প্রকৌশলী নাসিম-আল ইসলাম। তিনি জানান, এ কাজে ইটের খোয়া ও পাথর দিয়ে তৈরি আরসিসি রিং পাইপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা নাসিম বলেন, বিমানবন্দরের সামনে পানি নিস্কাশনের কাজটি পেয়েছেন আরিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক আরিফ হোসেন মোল্লা। অচিরেই শেষ হবে পাইপ বসানোর কাজ। এর পর ব্যয় নির্ধারণ করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেবিচকের এক কর্মকর্তা জানান, পানি নিস্কাশন কাজে পাথরের টুকরো দিয়ে তৈরি আরসিসি পাইপ ব্যবহারের নিয়ম আছে। সরেজমিন দেখা যায়, বিমানবন্দরের সামনে বৃষ্টির পানি নিস্কাশনে পাঁচ ফুট ব্যাসের আরসিসি পাইপ বসানোর কাজ চলছে। এসব পাইপ নিম্নমানের। কোনো কোনোটি ভাঙা। কয়েকটি পাইপ থেকে বেরিয়ে এসেছে ইটের খোয়া ও নিম্নমানের তার। সংশ্নিষ্টরা জানান, বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প চলমান থাকায় ইট, বালু, পাথর ও রড বহনের বড় বড় গাড়ি চলাচল করে। নিম্নমানের আরসিসি পাইপ ব্যবহারে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে গত রোববার বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান সমকালকে বলেন, বিমানবন্দরের সামনে পানি নিস্কাশন কাজে নিম্নমানের আরসিসি পাইপ বাসানোর প্রমাণ পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ অনিয়ম করলে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে ওই পাইপ তুলে ফেলা হবে।
বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক জানান, ভাঙা ও নিম্নমানের পাইপ বসানো হলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার আরিফ হোসেন মোল্লা বলেন, তিনি ২৪ বছর ধরে বেবিচকের কাজ করছেন। বিমানবন্দরের সামনে পানি নিস্কাশনের জন্য চলছে আরসিসি রিং পাইপ বসানোর কাজ। টেন্ডার ছাড়াই নিজের টাকা ব্যয় করে বসাচ্ছেন পাইপ। কাজ শেষ হলে আগামী বছর বিল পেতে পারেন। এসব পাইপ ইটের খোয়া দিয়ে তৈরি। এগুলো বহন করতে ক্রেনের মাধ্যমে গাড়িতে তোলার সময় কিছু ভেঙে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, কাজে অনিয়ম হচ্ছে না। তা ছাড়া পাইপ বসানোর কাজ তিনি একা করছেন না। বেবিচকের তালিকাভুক্ত আরেকজন ঠিকাদারও কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন