- রাজধানী
- বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা চান বিশিষ্টজন
জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা
বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা চান বিশিষ্টজন

জাতীয় প্রেসক্লাব- ফাইল ছবি
আদিবাসীকে স্বীকৃতি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজন। তাঁরা বলেছেন, বাহাত্তরের সংবিধান ৩০ লাখ শহীদের রক্তের আখরে লেখা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্নের ধারক। এই সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সাম্য, সমতা ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ''আদিবাসীদের আদিবাসী পরিচয়ে স্বীকৃতি দিয়ে '৭২-এর বঙ্গবন্ধুর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই'' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে সভায় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, নারীনেত্রী ডা. ফৌজিয়া মোসলেম, ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, কাজল দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আবু সাইয়িদ বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী করলেও তাতে রাষ্ট্রধর্ম রেখে দিয়েছে। এতে সংবিধানের সাম্প্রদায়িকীকরণ আরও পোক্ত হয়েছে। আবার হিন্দুদের বাড়ি পোড়ানো হলো যে এমপির ইন্ধনে, তাঁকেই সংসদে ডেপুটি স্পিকার করা হয়েছে।'
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ''শহীদের রক্তের আখরে রচিত '৭২-এর সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্টম্নকে ধারণ করে আছে। এটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সাম্য, সমতা ও সামাজিক মর্যাদা সুনিশ্চিত হতে পারবে না। এ জন্য মূল সংবিধান প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।''
শাহরিয়ার কবির বলেন, 'রাষ্ট্রধর্মের সুযোগ নিয়ে দেশে ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও প্রগতিকে খামচে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ সব শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার।' মামুনুর রশীদ বলেন, ''পঞ্চদশ সংশোধনীর পরও সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম এবং 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' থাকল কেন? এ প্রশ্নের জবাব মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকেই দিতে হবে।''
স্বাগত বক্তব্যে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ''ধর্মীয় সংখ্যাগুরু জনগণের ধর্ম রাষ্ট্রধর্ম হওয়ায় দেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুরা কার্যত রাষ্ট্রীয় সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। '৭২-এর সংবিধান পাকিস্তানি মোড়কে আজও আবর্তিত। সংকট উত্তরণে আদিবাসীকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর '৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই।''
মন্তব্য করুন