- রাজধানী
- 'পাঠ্য পুস্তকের চেয়ে কারিগরি শিক্ষার চাহিদা বেশি'
ইউরোপিয়ান আইটি'র নবীন বরণ
'পাঠ্য পুস্তকের চেয়ে কারিগরি শিক্ষার চাহিদা বেশি'

দেশের ডিজিটাল লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে যথাযথ কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করাসহ স্বনির্ভর অর্থনীতি বিনির্মাণে অবদান রাখতে পারে শিক্ষার্থীরা।
'কারিগরি শিক্ষা নেবো, বেকারত্ব নয় স্বাবলম্বী হবো' প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত নবীবনবরণ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন ইউরোপিয়ান আইটি সলিউশন্স (ইআইএস) এবং ইউরোপিয়ান আইটি ইন্সটিটিউট (ইআইআই) এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও এমডি মামুন উর রশিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. মোহাম্মদ আবদুস সবুর। এছাড়া অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ইডিজিই প্রকল্প, বিসিসি-এর পলিসি স্পেশালিষ্ট (সিনিয়র সহকারী সচিব) র. হ. ম. আলাওল কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর সভাপতি প্রকৌশলী সুব্রত সরকার।
মোহাম্মদ আবদুস সবুর বলেন, 'যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার ধরনও বদলে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে প্রথাগত পাঠ্য পুস্তকের চেয়ে কারিগরি শিক্ষার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। সরকারের ভবিষ্যৎ লক্ষ্যমাত্রাগুলোর অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে তরুণদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে ইউরোপিয়ান আইটি ইন্সটিটিউট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।'
র. হ. ম. আলাওল কবির বলেন, 'ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে পারলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে, তাই আমাদের অভ্যন্তরীন পরিমণ্ডলেও দক্ষ আইটি পেশাদারদের চাহিদা রয়েছে। প্রযুক্তিখাতে প্রশিক্ষিত লোকবল তৈরি করতে পারলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব। বাংলাদেশের ফ্রিলান্সাররা ইতোমধ্যে বহির্বিশ্বে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। ইউরোপিয়ান আইটি ইন্সটিটিউট প্রতিবছরই তথ্যপ্রযুক্তিখাতে দক্ষ-লোকবল তৈরি করছে- যা সত্যিই প্রশংসনীয়।'
সভাপতির বক্তব্যে মামুন উর রশিদ বলেন, বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর পর হতেই প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের মানসম্পন্ন আইটি কোর্স প্রদান করে আসছে ইউরোপিয়ান আইটি। একইসঙ্গে, ইউরোপিয়ান আইটি ইন্সটিটিউট কাজ করে যাচ্ছে 'ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট' প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে। বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।'
তিনি আরও বলেন, 'একটি জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন রয়েছে আমাদের। সেইসঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহ দেশের স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সিটিজেন গড়ে তুলতে মূল নেতৃত্ব দেবে আমাদের এই তরুণ মেধাবী প্রকৌশলী ভাই ও বোনেরা। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে, সকল বিভ্রান্তি ও অপপ্রচারকে দূরে সরিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সোনার বাংলার জাতিকে উপহার দিতে পারব। এক্ষেত্রে আইটি খাত-ই আমাদের ভিশন পূরণে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।'
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রম বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক নাজমুল আলম ভূইঁয়া জুয়েল, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর পরিচালক আহমেদুল ইসলাম বাবু, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আব্দুস সালাম, রবি টেন মিনিট স্কুল এর কনসালটেন্ট সাকিব বিন রশিদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সাশ্রয়ী মূল্যে ওয়েবভিত্তিক সলুশ্যন ও সার্ভিস প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে ইউরোপিয়ান আইটি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের একাধিক প্ল্যাটফর্মে সফলতার সাথে ডিজিটাল প্রযুক্তি সেবা প্রদান করে আসছে। আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশে ইউরোপিয়ান আইটি'র দুটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার রয়েছে।
মন্তব্য করুন