রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি খসড়া প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। সোমবার পাস হওয়া এই প্রস্তাবে ইউক্রেনে আগ্রাসনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে যুদ্ধের ফলে ক্ষয়ক্ষতির জন্য কিয়েভকে ক্ষতিপূরণ দিতে মস্কোকে বাধ্য করার কথা বলা হয়েছে। তবে যুদ্ধবন্দি নির্যাতনে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশই দোষী বলে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে খসড়া প্রস্তাবটি তোলা হয়। সোমবার এর ওপর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রস্তাবের পক্ষে ৯৪টি ভোট পড়ে। বিপক্ষে পড়ে ১৪টি ভোট। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ ৭৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত ছিল। নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, ইসরায়েল, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোও ভোটদানে বিরত ছিল।

এদিকে সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রাশিয়া মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া চুক্তির সময় বাড়াবে যা ইউক্রেনের শস্য চালানের পথ নিরাপদ করবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি উল্লেখ করেন। চুক্তি নিয়ে গত সপ্তাহের আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে। আগামী শনিবার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আমি আশা করছি, কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। অন্যদিকে ইউক্রেনকে সামনে আরও কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হবে এবং রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে খাটো করে দেখা উচিত হবে না। ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সোমবার এ কথা বলেছেন। তিনি খেরসন শহর থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহারের প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবিশ্বাস্য সাহসের প্রশংসা করেন। খবর বিবিসি, আলজাজিরা ও এএফপির।