দেশের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উড়োজাহাজ চলাচল নিরাপদ করতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক রাডার বসানো হচ্ছে। ফ্রান্সের তৈরি সিএনএস-এটিএম (রাডার) সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি আগামী বছর বসানো হবে বলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে।

বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, ফ্রান্সের স্যাটেলাইট টেলিকমিউনিকেশন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেসে রাডার বানানোর কাজ চলছে। ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬৭৫ কোটি টাকা। এটি তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। রাডারটি বসানোর জন্য শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে একটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। শাহজালালে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে এ দুটি প্রকল্প একসঙ্গে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র জানায়, দেশের বিদ্যমান রাডার ব্যবস্থাপনায় গণ্ডির একটু বাইরে থাকা আকাশপথের কোনো উড়োজাহাজ শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। এমনকি কোনো দেশের উড়োজাহাজ সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করলেও তা ধরা পড়ে না। কিন্তু নতুন রাডার পদ্ধতি চালুর পর দেশের আকাশ ও সমুদ্রসীমা দিয়ে যত উড়োজাহাজ যাবে, সবই নজরদারির আওতায় আসবে। নিয়ম লঙ্ঘন করলে ওভারফ্লাইং চার্জের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বাড়বে বেবিচকের।

ফ্রান্সের এ রাডার, আনুষঙ্গিক এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ নেভিগেশন বসানো হলে নজরদারি উন্নত হবে। আকাশ ও সমুদ্রসীমায় বেবিচকের শক্ত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে। এতে আকাশ ও সমুদ্রপথ নিরাপদ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান সমকালকে বলেন, 'নতুন বছরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক রাডার বসানো হবে। এ জন্য বিমানবন্দরের সামনে একটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। থার্ড টার্মিনাল ও রাডার স্থাপন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।'