নানা আয়োজনে শহীদ ডা. মিলন দিবস পালন করেছে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য। দিবসটি উপলক্ষে রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. মিলন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি চত্বরে শহীদ ডা. মিলনের বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন তারা। এছাড়া শহীদের স্মৃতির প্রতি এক মিনিট নিরবতা পালন করেন তারা। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, '৯০ এর ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সাবেক 'সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য'র নেতা সাবেক সাংসদ ছাত্রনেতা নাজমুল হক প্রধান, নুর আহমেদ বকুল, শফি আহমেদ, রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিরাজুমমুনীর, বেলাল চৌধুরী, জায়েদ ইকবাল খান, রাজু আহমেদ, জাকির হোসেন রাজু, কামাল হোসেন বাদল, কলিন্স, আক্রাম হোসেন, সাংবাদিক নজরুল কবির, বেনজির আহমেদ, মোস্তফা আলমগীর রতন,কায়ুম হোসেন, মুকুল রহমান প্রমুখ।

দিবসটি উপলক্ষে মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য প্রদান করেন সাবেক ছাত্র নেতা ও সাবেক সাংসদ নাজমুল হক প্রধান, নুর আহমেদ বকুল, শফি আহমেদ। 

বক্তারা বলেন, সামরিক জান্তা স্বৈরাচারী শাসক এর ঘাতকের  গুলিতে নিহত শহীদ ডা. মিলনের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। তার আত্মত্যাগ ও তার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি স্বার্থক হবে, যখন তিন জোটের রুপরেখা দল নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠালাভ করে সু-শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। 

তারা আরও বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের পরবর্তী সরকারগুলো ছাত্রদের প্রবর্তিত ১০ দফা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, স্কপ, নারী জোট, ১৭ টি কৃষক সংগঠনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করেনি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হলেও এখনও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা দাবি জানাচ্ছি, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। 

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের এই দিনে সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদের ঘাতক চক্র বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)'র তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব ডা. শামস উল আলম খান মিলনকে গুলি করে হত্যা করে। শহীদ মিলনের রক্তে জেগে ওঠা ছাত্র - গণঅভ্যুত্থান এরশাদকে পদত্যাগে বাধ্য করে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি