- রাজধানী
- বাহারি পিঠায় নগরীতে শীতের আমেজ
বাহারি পিঠায় নগরীতে শীতের আমেজ

রাজধানীর ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে শীতের পিঠা - সমকাল
রাজধানীতে অসহ্য গরমের হাঁসফাঁস অবস্থা আর নেই। এ কারণে দেখা মিলছে না লেবু শরবতের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর। বিকেল হলেই রাস্তার পাশে বাহারি পিঠার দোকানগুলো জানান দিচ্ছে নগরীতে শীত এসে গেছে।
গরমের ঠান্ডা পানীয়, লেবুর শরবত, তরমুজ, ডাবের পানি, আইসক্রিমের জায়গায় স্থান করে নিয়েছে চিতই, ডিম চিতই, ভাপা পিঠা, মালপোয়া, কুসুমকলি, বড় ভাজা কুলি, নকশি পাকন, হৃদয় হরণ, ঝিনুক পিঠা, পাটিশাপটা, সিদ্ধ কুলি, পোয়া, শাপটাসহ বাহারি সব পিঠা। শীতের আমেজে এগুলো খেতে খুবই মজাদার।
এসব পিঠা তৈরি করে ব্যবসাও হচ্ছে বেশ। দোকানিরা জানান, স্থান ও দোকান ভেদে দৈনিক বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ পিঠা। ১০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে রয়েছে দাম। এ হিসাবে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার পিঠা।
রাজধানীতে সরেজমিন দেখা যায়, পিঠার দোকানগুলোতে লোকজনের ভিড়। তপ্ত উনুন থেকে নামছে গরম গরম পিঠা। হরেক রকমের ভর্তা মিশিয়ে খাচ্ছেন ক্রেতারা। চালের গুঁড়া থেকে তৈরি হচ্ছে চিতই পিঠা, আর চালের গুঁড়ার সঙ্গে গুড় আর নারকেল মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠা।
শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে পিঠা খেতে খেতে সানজিদা ইসলাম নামে এক ক্রেতা জানালেন, পিঠা না খেলে যেন শীতের পূর্ণতা আসে না। শীত আসবে আর বাঙালি পিঠা খাবে না, তা হয় না। রাকিন তমা নামে আরেকজন বললেন, শীতে নতুন ধান থেকে বানানো হবে চাল। সেই সুগন্ধি চালে খাওয়া হবে পিঠা- এ হচ্ছে আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ভাপা পিঠা বিক্রি করছিলেন মো. ইসমাইল। জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সুন্দর ডিজাইনের পিঠা বানানোর বিকল্প নেই। তাই গুড়কে নরম করে স্তরে স্তরে পিঠা সাজিয়ে রেখেছেন। দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ পিঠা বিক্রি হয় তাঁর।
তেজগাঁও চ্যানেল টোয়েন্টিফোর মোড়ে চিতই পিঠা বিক্রি করেন নাসিমা। তিন রকমের পিঠা পাওয়া যায় তাঁর কাছে। এর মধ্যে শুধু চিতই ১০ টাকা, মুরগির ডিমের চিতই ২৫ টাকা আর হাঁসের ডিমের চিতই ৩০ টাকা।
মন্তব্য করুন