- রাজধানী
- কী জবাব দেব মকবুলের মেয়ে ও স্ত্রীকে
কী জবাব দেব মকবুলের মেয়ে ও স্ত্রীকে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের ফটকে মকবুল হোসেনের স্বজনদের আহাজারি (ফাইল ফটো)
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা। অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল প্রতিনিয়ত। তখন কথা হয় নূর হোসেনের সঙ্গে। তিনি বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষে নিহত মকবুল হোসেনের বড় ভাই। স্নেহের ছোট ভাইয়ের লাশ নিয়ে মিরপুরের বাসায় ফিরছিলেন নূর হোসেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, 'ছোট ভাইডা আমাগো আগেই মারা গেল। ভাইয়ের লাশ নিয়ে বাসায় ফিরছি। মিরপুরের বাসায় জানাজা শেষে কালশী কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করব। মকবুলের মেয়ে আর স্ত্রীকে কী জবাব দেব। ওদের মুখের দিকে তাকানোর সাহস হয় না।'
মকবুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগের মর্গে মকবুলের লাশ খুঁজে পান তাঁর স্ত্রী হালিমা বেগম। মকবুলের একমাত্র সন্তান আট বছরের মেয়ে মিথিলা এবং স্ত্রী হালিমার চিৎকার আর বিলাপ ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালজুড়ে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয় মর্গে। সারারাত সেখানেই কেটে যায় তাঁদের। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মকবুলের নিথর দেহ হাতে পায় তাঁর পরিবার।
নূর হোসেন বলেন, 'ভাই হারানোর শোকই সইতে পারছি না। এর ওপর তাঁর পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। মকবুলের মেয়েটার মুখে ভাষা নেই। কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেছে, দুচোখ বেয়ে শুধু অশ্রু ঝরছে। কিছুই খাচ্ছে না সে। কান্না থামছে না মকবুলের স্ত্রীরও। বারবার মূর্ছা যাচ্ছে। ওদের যে কীভাবে সান্ত্বনা দেব আর নিজেকেই-বা কীভাবে বোঝাব ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।'
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মকবুলের লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া সংঘর্ষে ভর্তি আরও দু'জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। মাহাফুজ নামে আহত এক পুলিশ সদস্য এখনও চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য করুন