- রাজধানী
- যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করব: পেশাজীবী নেতারা
যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করব: পেশাজীবী নেতারা

ছবি: সমকাল
যেকোনো মূল্যে আগামীকাল শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সমাবেশ সফল করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ নেতারা। গত বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) নেতারা।
ইন্জিনিয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ফরহাদ আলী ডোনার, প্রফেসর ড. তাজমেরী ইসলাম, ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষক সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, টিচার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড্যাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. আজিজুল হক, জিয়া পরিষদের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল তালুকদারসহ বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা।
ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, ‘সরকার বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে টালবাহানা করছে। গতকাল বুধবার রাতে অন্ধকারে আমাদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ন্যাক্কারজনকভাবে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। যত গ্রেপ্তার জুলুমই আসুক না কেন আগামীকালের সমাবেশ আমরা সফল করব।’
অধ্যাপক ফরহাদ আলী ডোনার বলেন, ‘ঢাকার সমাবেশ নিয়ে সরকার ভেলকিবাজি করছে। এই সরকার চায় না, বিএনপি সম্মেলন করুক তাই তারা রাতের অন্ধকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা বলতে চাই, যেকোনো মূল্যে আমরা আগামীকালের সম্মেলন সফল করব।’
ডা. আজিজুল হক বলেন, ‘ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর ন্যক্কারজনক আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই। একদিকে পুলিশ সম্মেলনের অনুমতি দিয়ে অন্যদিকে গণগ্রেপ্তার করছে। আমাদের একজন নিরীহ কর্মীকে হত্যা করেছে। যতই হত্যা, জুলুম, নির্যাতন আসুক না কেন আমরা আগামীকালের সমাবেশ সফল করব।’
প্রফেসর ড. তাজমেরী ইসলাম বলেন, ‘সরকার মানুষের ভোটাধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। এই সরকার অতীতের জুলুম নির্যাতনের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সভা সমাবেশ করা মৌলিক অধিকার সেটাও তারা হরণ করেছে। আমরা পেশাজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘ডিসেম্বর বিএনপির দলের সামনে থেকে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের আমরা মুক্ত করে ছাড়ব। আমরা আর সরকারের কাছে কারও মুক্তি চাইব না। সরকার আমাদের ঢাকা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ন্যাক্কারজনকভাবে মামলা হামলা দিচ্ছে। কোনোকিছু করেই আমাদের সম্মেলন বানচাল করতে পারবে না আগামীকালের সম্মেলনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সফল করব।’
শিক্ষক নেতা ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘মানুষ আজ কোথাও নিরাপদ নয়। আমি পুলিশ বাহিনীকে বলব আপনারা আমাদের সমাবেশ করতে দিন, সমাবেশ বাধা দিবেন না। বিএনপির প্রথম সারির সব নেতা গ্রেপ্তার হলেও আমরা সম্মেলন সফল করব। আর ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই, এখনি রাজপথে নামতে হবে।’
পেশাজীবী নেতা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘এখন আর বক্তৃতা দেওয়ার সময় নেই, এখন আন্দোলনের সময়। পুলিশ একদিকে সম্মেলন অনুমতি দিয়ে অন্যদিকে গণগ্রেপ্তার হামলা-মামলা করছে। আমাদের মহাসচিব কে রাতের আঁধারে গ্রেপ্তার করেছে আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি আপনাদের সবাইকে আগামীকালের সম্মেলন সফল করার অনুরোধ করছি।’
সভাপতির বক্তব্যে ইন্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু বলেন, ‘হত্যা, গ্রেপ্তার ও হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাদের সম্মেলন বানচাল করা যাবে না। আমরা যেকোনো মূল্যে আগামীকালের আমাদের সমাবেশ সফল করব। আজকে আমাদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার হরণ করেছে সরকার। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আপনারা সবাই আমাদের এই বিক্ষোভ সমাবেশে এসেছেন। আশা করছি আগামীকালের সম্মেলনেও আপনারা সবাই উপস্থিত হয়ে সমাবেশ সফল করবেন।’
মন্তব্য করুন