পুরান ঢাকার বংশালের মাহুতটুলি এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় চাঁন মসজিদ এলাকা থেকে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জর্দা ব্যবসায়ী জাবেদ হোসেন জনিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো ও পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বজনরা বলছেন, এ ঘটনার আগে পুলিশের একটি দল নিহতের বাড়িতে গিয়েছিল। তাদের দেখে পালিয়েছিলেন জনি। এর চার ঘণ্টা পর তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

বংশাল থানার ওসি আবুল খায়ের সমকালকে বলেন, কেন ও কীভাবে জনির মৃত্যু হয়েছে- তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আত্মীয়স্বজনরা এ ঘটনায় জড়িত। নিজেদের মধ্যে কোনো বিরোধের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

জানা গেছে, মাহুতটুলির চাঁন মসজিদ এলাকায় ৫১/১ নম্বর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন জনি। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে পাশের গলির ৫১/২ নম্বর বাড়ির সামনে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা গিয়ে লাশটি জনির বলে শনাক্ত করেন।

নিহতের ভাই আজিজুল হক পলাশ জানান, ভগ্নিপতি হাজি ইব্রাহিম ও হাজি জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ব্যবসা এবং সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল জনির। এর জেরে শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে তিনি তাঁর বাড়ির অদূরে ইব্রাহিমের মালিকানাধীন বাড়িতে গিয়ে গালাগাল করেন। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশের একটি দল জনির খোঁজে তাঁর বাড়িতে যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ইব্রাহিম ও তাঁর চার সহযোগী। তখন পুলিশের ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান জনি।

পলাশ দাবি করেন, ভগ্নিপতি হাজি জাহাঙ্গীরের জর্দার ব্যবসা আছে। তাঁর প্রতিষ্ঠানে ১৮ বছর চাকরি করেন জনি। এরপর তিন-চার বছর আগে তিনি নিজে জর্দার ব্যবসা শুরু করেন। তখন থেকেই ভগ্নিপতির সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। ভগ্নিপতি কয়েক দফায় জনির ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চালান। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন অপর ভগ্নিপতি হাজি ইব্রাহিম। তাঁদের সঙ্গে জমি নিয়েও বিরোধ আছে। এসবের জেরে তারা জনিকে হত্যা করেছে।

তদন্তসংশ্নিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থলটি কোনো সিসি ক্যামেরার আওতায় আসেনি। তবে আশপাশের ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় পরিবারে কেউ মামলা করেননি।