কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী বলেছেন, ‘বিএনপির দেশে সন্ত্রাস কায়েম করতে চায়। এতদিন তাদের সহ্য করেছি, আর নয়। এখন ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। শুধু নয়াপল্টনে নয়, তাদের ঘর থেকে বের করে এনে রাজপথে মোকাবেলা করতে হবে।’

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘মনে পড়ে বাংলাদেশ? বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের খন্ডচিত্র প্রদর্শন ও প্রতিবাদ’ সমাবেশে তারা এ সব কথা বলেন।

ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কামাল খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি সোহান খান, ইয়াজ আল রিয়াদ, মাজহারুল ইসলাম শামীম, উৎপল বিশ্বাস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান, মাহবুব খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সোহানুর রহমান সোহান, স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক পুতুল চন্দ্র রায়, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমীন সিদ্দিক সুজন, পরিবেশ সম্পাদক শামীম পারভেজ, উপ-পরিবেশ সম্পাদক হাসানুর রহমান হাসু, উপ-আইন সম্পাদক শাহেদ খান ও শেখ সুজন, উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহসান পিয়াল। এরা সবাই ছাত্রলীগের কমিটিতে পদপ্রত্যাশী।

তারা বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সারাদেশে আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতনের স্ট্রীম রোলার চালানো হয়। এমনকি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার কারণে অনেকের হাত-পা কেটে নেওয়া হয়। ২০১৪ সালেও তারা দেশব্যাপী সন্ত্রাস, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। এখন আবার তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তাদের মোকাবিলা করতে হবে। 

সোহান খান বলেন, জামায়াত বাংলাদেশের প্রকাশ্য রাজাকার আলবদর ছিল। তাদেরকে নিয়ে বিএনপি কীভাবে রাজপথ দখল করতে চায়। তারেক রহমানকে বলি, আপনার যদি দেশপ্রেম এতই থাকে তাহলে দেশে এসে কথা বলুন। রাতের আঁধারে ক্ষমতা নিয়েছিল সেই জিয়া। তাদের এই সন্ত্রাসী আস্ফালন দৃঢ় হাতে প্রতিহত করা হবে।

ইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, এই বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবীরাও নিরাপদ থাকেনি। আমাদের এখানে দুর্নীতির বরপুত্র হয়েছেন। তিনি মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছেন। তারা এখন দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। তারা আজকে বলে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। এর নামে বাংলাদেশে তারা জ্বালাও পোড়াও শুরু করতে চায়।

মাজহারুল ইসলাম শামীম বলেন, বিএনপি অসৎ উদ্দেশ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় না, নয়াপল্টনে রাস্তায় সমাবেশ করবে। তারা রাস্তা আটকে ঢাকা অচল করতে চায়। কিন্তু এ দেশে আর কখনই অরাজক এমন কিছু ঘটবে না। শেখ হাসিনা সংসদে, ছাত্রলীগ রাজপথে।

কামাল খান বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সারাদেশে আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতনের স্ট্রীম রোলার চালানো হয়। নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার কারণে হাত-পা কেটে নেওয়া হয়। ১৯৮১ সালে দেশরত্ম শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসলে প্রায় বিশবার হত্যাচেষ্টা করেছে। কিন্তু দেশের মানুষের ভালোবাসা ও আস্থায় আল্লাহর রহমতে তিনি টিকে আছেন। পরপর তিনবার আমরা ক্ষমতায় আসীন আছি।

উৎপল বিশ্বাস বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে। বাংলাদেশ বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। যাদের নেতা সাজাপ্রাপ্ত আসামি। অশান্তিতে রাখার জন্য বারবার চেষ্টা করেছে। আমরা এতদিন সহ্য করেছি। আর নয়, এখন জবাব দেওয়ার সময় হয়েছে। বিএনপি জামায়াতকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই, আগামী দিনে আর কোনো প্রাণহানি ঘটে তাদের ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাঁতভাঙা জবাব দিবে। শুধু নয়াপল্টন নয়, তাদের বাড়ি থেকে ধরে এনে রাজপথে মোকাবিলা করতে চাই। আমরা রাজপথ পছন্দ করি।