পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূরের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলছে, সেই বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফারদিনের সহপাঠীরা বলেছেন, “আমরা ‘অনেকটা সন্তুষ্ট’। আলামত দেখার পর তা ‘প্রাসঙ্গিক’ মনে হচ্ছে। তবে কিছু জায়গায় হয়ত গ্যাপ আছে।” আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন ফারদিনের সহপাঠীরা। আগে হত্যা বললেও এখন পুলিশ কেন ‘আত্মহত্যা’ বলছে, সেই প্রমাণ দেখতে তারা ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষে তাহমিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আলামতগুলো তারা আমাদের দেখিয়েছেন। আলামতগুলো আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়েছে। তারা এগুলোর পেছনে বেশ এফোর্ট দিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় হয়ত কিছু গ্যাপ আছে। আশা করি সামনে এগুলো নিয়ে তারা আরও অগ্রসর হবে। এ ব্যাপারে তারা আমাদের একটা আশ্বাসও দিয়েছে।”

ডিবির ব্যাখ্যায় এখন সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “তাদের সহযোগিতায় আমরা অনেকটা সন্তুষ্ট। তারা অনেক কাজ করছেন। আমরা চূড়ান্ত কিছু বলছি না। বুয়েটে ফিরে সবার সাথে আলোচনা করে আমরা বিস্তারিত বলব।”

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, “পুরোটাই যে আত্মহত্যা, তাদের আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তারাও বিষয়টি বুঝেছেন।”

তবে ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন রানা এখনও মানতে রাজি নন যে তার ছেলে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে না থাকলেও পরে তিনি ডিবি কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মানি না, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বিষয়টি আমি এখনও মানি না।”

কেন তিনি হত্যা বলে মনে করছেন জানতে চাইলে নূরউদ্দিন বলেন, “র‌্যাব বা ডিবি কোনো ভিডিও দেখাতে পারেনি, কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।”

সেক্ষেত্রে কে ফারদিনকে হত্যা করে থাকতে পারে– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “তদন্তকারী সংস্থাই সেটা বের করবে।”