- রাজধানী
- ভাষা চর্চায় অবদান রাখায় সম্মাননা পেলেন ৬ ভাষাবিজ্ঞানী
ভাষা চর্চায় অবদান রাখায় সম্মাননা পেলেন ৬ ভাষাবিজ্ঞানী
ঢাবির ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ৩০ বছর পূর্তি উৎসব

নানা আয়োজন এবং কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা অনুষদভুক্ত ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ। অনুষ্ঠানে ভাষা ও ভাষাবিজ্ঞান চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ছয়জন বিশিষ্ট ভাষাবিজ্ঞানীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তারা হলেন-অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ, অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক মনসুর মুসা, অধ্যাপক মহাম্মদ দানীউল হক, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক এবং অধ্যাপক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে কেক কেটে দিনব্যাপী উৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির এবং অনুষ্ঠানের আহবায়ক অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমান যুগের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষা গবেষণা ও চর্চার মধ্য দিয়ে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের কাজের সুযোগ রয়েছে। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা মাতৃভাষা বাংলাকে অর্জন করেছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলা ভাষার অবস্থান যেন আরও সুদৃঢ় এবং শক্তিশালী করা যায়। সে বিষয়ে কাজ করতে হবে। তিনি ভাষা নিয়ে গবেষণা করতে বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রতি আহŸান জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা ও চর্চায় অনন্য অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিক্ষা ও গবেষণাসহ বিভাগের সকল কার্যক্রমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত রাখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের আরও দক্ষ ও যোগ্য হয়ে গড়ে উঠতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের অগ্রগামী হতে হবে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন শ্রেণি প্রতিনিধি এবং সাংস্কৃতিক সপ্তাহের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিকেলে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বিভাগ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন অগ্রজরা। এরপর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন