স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের বাঁকা চোখে দেখবেন না। তারা সব সময় জায়গা দখল করে না।

বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'রিহ্যাব ফেয়ার ২০২২' এর উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্সযোদ্ধসহ নানা সম্মানসূচক শব্দ বলা হয়। কিন্তু যে উদ্যোক্তা গার্মেন্টস তৈরি করে ৫ হাজার শ্রমিকের কাজের ব্যবস্থা করেছে তাকে বলা হয় বুর্জুয়া, শোষক। উদ্যোক্তাদের সৃষ্টিকে অস্বীকার করা যানে না। তারা উদ্যোক্তা হওয়ার বহু মানুষের কাজের ব্যবস্থা হয়েছে।

তিনি বলেন, আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের বাঁকা চোখে দেখবেন না। তারা সব সময় জায়গা দখল করে না। দু-এক জন হয়তো খারাপ লোক আছে। এরকম দু-একজন খারাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডাক্তার, মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যেও আছে। সচিবরা সব ফেরেশতা হয়ে গেছেন এমনও নয়। নবী করিম (সঃ) ছাড়া দোষ-ত্রুটি বিহীন কোনো মানুষ নাই।

সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে অনেকগুলো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে অনেক ত্রুটি- বিচ্যুতিও আছে। আর্থিক কিছু মিসম্যানেজমেন্ট বা ভুল ব্যবস্থাপনা আছে। কিছু দুঃখজনক ঘটনাও আছে। আমাদের ভাবতে হবে, এতগুলো গাড়ি, এত সম্পদ দরকার নাই। টাকা উপার্জন করবো। সেগুলো মানুষের কল্যাণেও ব্যয় করবো।

আবাসন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,শুধু বাসা-বাড়ি হলেই হবে না। সেখানে থাকতে হলে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, শপিং মলসহ সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

নতুন ড্যাপের সংশোধনের বিষয়ে মন্ত্রী নলেন, ড্যাপের নীতি বাস্তবায়নে আমি নিরপেক্ষ ছিলাম। তবে যদি কোনো সংশোধন করলে রাষ্ট্র, দেশ, জাতির ক্ষতি না হয় তাহলে তা করা হবে। সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট করে সমস্যা দেখাতে হবে।

অনুষ্ঠানে রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, করোনার প্রভাব, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, নতুন ড্যাপ, নির্মাণ সামগ্রীর দাম- সব কিছু নিয়ে কঠিন সময় পার করছে আবাসন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ড্যাপ নিয়ে প্রকট সমস্যা রয়েছে। আশা করি এগুলো বিবেচনায় নিবেন সরকার।

তিনি বলেন, আবাসন ব্যবসায়ীদের বাঁচান, তারা কোনো প্রণোদনা চায় না। চায় সঠিক নীতি সহায়তা। তারা সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।