ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

‘যুক্তরাষ্ট্রের মোড়লগিরি’ দমনে ইরানকে স্বাগতম: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

‘যুক্তরাষ্ট্রের মোড়লগিরি’ দমনে ইরানকে স্বাগতম: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের ৪৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি:সমকাল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক  

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০২:২৫ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০২:২৬

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে পাকিস্তানি অত্যাচারের হাত থেকে নিপীড়িত মানুষকে মুক্তি দিয়েছিলেন, তেমনি রেজা শাহ পাহলভীর হাত থেকে ইরানের মানুষকে রক্ষা করেছেন আয়াতুল্লাহ খোমেনী। কথায় কথায় তো স্যাংশন আছেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ওরা (যুক্তরাষ্ট্র) স্যাংশন দিলে আমরাও দেব। ওরা যে শক্তি-অহংকার দেখায়, একচেটিয়াভাবে সারা বিশ্বে মোড়লগিরি করে, এটা দমন করার জন্য ইরানকে স্বাগতম।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের ৪৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন। ঢাকায় ইরানী দূতাবাসের কালচারাল সেন্টার এ সভার আয়োজন করে।   

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ইরানের ইসলামী বিপ্লব দুনিয়ার মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সব মানুষের কাছে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এ বিপ্লব ৪৪ বছর আগে সংঘটিত হয়। ইরানের জনগণ যখন রেজা শাহলভীর অত্যাচারে শোষণে নিষ্পেষিত তখন ত্রাণকর্তা হিসেবে ইমাম খোমেনী বিপ্লব করে ইরানকে মুক্ত করেছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, একই অবস্থায় আমরাও ছিলাম।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন শোষণের বর্ণনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময় আমরা আমাদের দেশ স্বাধীন করেছি। যেমনি খোমেনী বিপ্লব করেছিলেন।’

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইরান বর্তমানে অনেক এগিয়েছে। এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে আবিষ্কার এবং উদ্ভাবন, ন্যানো প্রযুক্তি, সামরিক বেসামরিক বিমান, সাবমেরিন, কৃত্রিম উপগ্রহ, চিকিৎসা, কৃষি, মহাকাশ গবেষণায় তারা অগ্রগামী। এ জন্য আমরা আনন্দিত, একটা ইসলামিক রাষ্ট্রে প্রতিকূল অবস্থায় অনেক উন্নতি করেছে। আমরাও একইভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি। আমি মনে করি আমাদের অনেক মিল রয়েছে।’

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় ইরানী রাষ্ট্রদূত মনসুর চাবোশি ও ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়াউর রহমান, ঢাবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ড. মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী। সভাপতিত্ব করেন ইরানী দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর সায়েদ রেজা মির মোহাম্মদী। সভায় ঢাবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×