- রাজধানী
- পর্যটকবাহী জাহাজ চলার অনুমতি না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুট
পর্যটকবাহী জাহাজ চলার অনুমতি না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বুধবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। সভায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই নৌপথ খুলে দেওয়া উচিত। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় তাঁদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন পর্যটনের ভরা মৌসুম। জাহাজ চলাচলের অনুমতি না দিলে তাঁরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে দায় সরকারকে নিতে হয়। তাই জাহাজ চলাচলের বিষয়ে সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এদিকে নাব্য সংকটের অজুহাতে বন্ধ থাকা এই নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের দাবিতে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন কক্সবাজারের পর্যটনসংশ্লিষ্ট ১০ সংগঠনের নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে টুয়াক সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের বেশিরভাগই সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে চান।
এ সময় টুয়াক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মনিবুর রহমান টিটু, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম, স্কোয়াব সহসভাপতি এস এম আবু নোমান, ছৈয়দুল হক কোম্পানি, হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে এক সেমিনারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। যুক্তি হিসেবে নাফ নদীর নাব্য সংকট ও নদীতে একাধিক বালুচর জেগে ওঠার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন