- রাজধানী
- চিম্বুক হোক পর্যটকবান্ধব
চিম্বুক হোক পর্যটকবান্ধব

বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক পাহাড়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই পাহাড়ের উচ্চতা ১ হাজার ৫০০ ফুট। চিম্বুক পাহাড় থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত যে কোনো পর্যটককে আকৃষ্ট করবে। তবে আজও এই পাহাড়ি জনপদে গড়ে ওঠেনি পর্যটন কেন্দ্র। চিম্বুকে রয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে একটি রেস্টহাউস, কিন্তু তা পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত নয়। চিম্বুকের চৌহদ্দির মধ্যে নেই কোনো আবাসিক হোটেল-মোটেল, যেখানে গিয়ে রাত যাপন করা যেতে পারে। অথচ এই চিম্বুক পাহাড়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে সুন্দর একটি উপজেলা শহর, আর তা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের চিম্বুক হতে পারে একটি শৈলশহর।
চিম্বুক পাহাড়ে যেতে দেখা যায় আঁকাবাঁকা পথ; দুই পাশের চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্য, সর্পিল সাঙ্গু নদী, ঝরনাসহ অনেক কিছু। আর চিম্বুক পাহাড়ে মেলে মেঘের স্পর্শ। দেখে মনে হবে, চিম্বুক যেন এক স্বর্গের দেশ। যারা চিম্বুক দেখতে যায়, তারা প্রেমে পড়ে যায় তার অপরূপ মায়ায়। ভোরবেলা সূর্যোদয় আর সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখা সে কী এক মনোরম দৃশ্য, তা না গেলে উপলব্ধি করা যায় না! একবার সেখানে গেলে বারবার যেতে ইচ্ছা করবে! তবে চিম্বুকের সেই মায়া ছেড়ে আসতে হয় দ্রুতই। ইচ্ছা থাকলেই আর কিছুটা সময় কাটানো হয় না পর্যটকদের। কারণ, সেখানে থাকার কোনো ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। তাই চিম্বুক পাহাড় ও এর আশপাশ এলাকা নিয়ে একটি শহর গড়ে তোলা প্রয়োজন। পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি শহর গড়ে উঠলে এই জনপদে লাগবে উন্নয়নের ছোঁয়া। এতে পর্যটকদের জন্য যেমন ভ্রমণের দ্বার উন্মোচন হবে, একই সঙ্গে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রাজস্ব আয়ও বেড়ে যাবে। আর নৈসর্গিক সৌন্দর্য অবলোকনের জন্য দলে দলে দেশ-বিদেশের পর্যটক আসবে চিম্বুকের পথে।
মিরপুর, ঢাকা
মন্তব্য করুন