স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানহীন ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য প্রতিবন্ধক। তাই জাতীর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষিত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। তবে আলোকিত মানুষ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিহার্য। শিক্ষকরাই পারেন আলোকিত মানুষ গড়তে। শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার মাধ্যমে সুশিক্ষা অর্জন করে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রাখবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের বড় ভূমিকা রয়েছে।

শুক্রবার লাকসাম বঙ্গবন্ধু পৗর অডিটোরিয়ামে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পাঠ্যক্রমের বাহিরেও সত্য, ন্যায়-অন্যায় ও সুশাসনের বিষয়ে শিক্ষার জন্য শিক্ষকদের দায়িত্ব রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ‌‘সোনার বাংলা’ তথা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার। শেখ হাসিনা জাতির জনকের সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে শিক্ষার্থীদেরকে সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাবান্ধব। শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, মেধাবী হয়ে কেউ জন্মায় না। জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই মেধাবী হয়ে উঠতে হয়। আর মেধার বিকাশ কর্মের মাধ্যমেই প্রকাশ করতে হয়।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খাঁনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূঁইয়া, লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, নবাব ফয়জুন্নেচ্ছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিতা সফিনাজ, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি বাবু তপন কুমার সাহা, মুদাফরগঞ্জ ফাযিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল ওয়াদুদ, লাকসাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, পশ্চিমগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শম্পা রানী সাহা প্রমুখ।