স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের সিটিগুলোকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন হবে স্মার্ট নাগরিক।

শনিবার বিটিআরসি আয়োজিত আজকের স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে প্রযুক্তির মহাসড়কে বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশে সকল নাগরিক সুবিধা থাকবে। পানি সরবারাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, গৃহস্থ বর্জ্য-শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকবে ও নগরে যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, সুস্থ্য স্বাভাবিক নতুন প্রজন্মের গড়ে তুলতে হলে তাদের জন্য যথাযথ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে তাদেরকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নাগরিক কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য অর্থনৈতিসহ সব খাতকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে হবে।

মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার শুধু স্বপ্ন দেখায় না, স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দান করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন না, বাস্তব। এমনই স্মার্ট বাংলাদেশ বা স্মার্ট সিটিও বাস্তবে রূপ নিবে। এ জন্য আমাদের সমন্বিতভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেওয়া হলেও আমাদের দেশের বাস্তবতায় স্মার্ট নগরী গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের শহরগুলোর প্রেক্ষিতে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমার নাগরিক যেন ঘরে বসে সব সুবিধা পাবে সেই সেবা নিশ্চিত করতে চাই।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট-এর অধ্যাপক ড. বি এম মইনূল হোসেন। তিনি উল্লেখ করেন, স্মার্ট সিটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিক নাগরিকসেবাসহ সকল সেবা সরবরাহ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সকলসহ নাগরিকদেরও স্মার্ট সিটি গড়তে একসাথে অংশগ্রহণ করতে হবে।

সেমিনারটিতে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ ছাড়াও  অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিটিআরসির কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ইমদাদুল হক।